ঢাকা ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘রাবিতে গরুর মাংস বিতর্ক’ হল প্রভোস্টের অপসারণ দাবি

‘রাবিতে গরুর মাংস বিতর্ক’ হল প্রভোস্টের অপসারণ দাবি

সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আমীর আলী হলের ইসাবেলা ক্যাটারিংয়ে সেহরিতে গরুর মাংস রাখা ও না রাখা নিয়ে ধর্মীয় অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছে, বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন। এ ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক জান্নাতুল নাঈম, নাগরিক ছাত্রঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক তারেক আশরাফ, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সমু চাকমা এবং ছাত্র গণমঞ্চের সমন্বয়ক নাসিম সরকার।

গতকাল রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘হল প্রশাসন শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সাম্প্রদায়িক বিভাজনকে উসকে দিয়েছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আমরা ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো শুরুতেই জানিয়েছিলাম সুকৌশলে শিক্ষার্থীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব অস্বীকার করতেই হল ডাইনিং বিলুপ্ত করে ক্যাটারিং চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সে সময় ‘শিক্ষার্থীরা পছন্দসই খাবার গ্রহণের স্বাধীনতা পাবে’ এমন বার্তা দিয়ে প্রশাসন তাদের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের বৈধতা আদায় করতে চেয়েছে। যার অনিবার্য ফলাফল আজকের উদ্ভূত পরিস্থিতি।

তারা আরো বলেন, পূর্ব আশ্বাস মোতাবেক শুরুতেই হল প্রশাসনের একইসঙ্গে সেহরিতে গরুর মাংস নিশ্চিত এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করতে পারার কথা ছিল। প্রশাসনের ব্যর্থতায় সৃষ্ট বিভাজন পরিস্থিতি এরই মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। সাম্প্রদায়িকতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া ও সাম্প্রদায়িক উসকানির মূল হোতা হল প্রভোস্ট মাহমুদুল হক টুটুলের অপসারণ চাই।

ছাত্র নেতারা বলেন, ক্যাটারিং সিস্টেম ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে একটি বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দেবে, আমরা এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলাম, সর্বশেষ ঘটনা সেই লক্ষণ হয়েই সামনে এলো। তাই অবিলম্বে ক্যাটারিং গুলো বাতিল করে পূর্বের হল ডাইনিং ফিরিয়ে আনতে হবে। ছাত্র নেতাদের পক্ষে কয়েকটি দাবিও তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো- ১) সাম্প্রদায়িকতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া ও সাম্প্রদায়িক উসকানির মূল হোতা আমীর আলী হল প্রভোস্ট মাহমুদুল হক টুটুলকে অপসারণ করতে হবে। ২) অবিলম্বে ক্যাটারিংগুলো বাতিল করে হলে ডাইনিং ফিরিয়ে আনতে হবে।

৩) হলের ডাইনিংয়ে ভর্তুকি দিয়ে রমজান মাসে পুষ্টিকর সেহরি নিশ্চিত করতে হবে। ৪) সেহরির সমপরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় আচার অক্ষুণ্ণ রেখে দুপুরে খাবার নিশ্চিত করতে হবে। ৫) ক্যাটারিংয়ে রেগুলার মিল রেটে গরুর মাংস সরবরাহ করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত