রমজানকে কেন্দ্র করে বরিশালেও বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলা, ডাল ও আলুর দাম বেড়েছে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। আর গত বছরের রমজানের আগ মুহূর্তের তুলনায় এ বছর খেজুর বিক্রি হচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ দামে। ভোক্তারা বলছেন, অভিযান হচ্ছে, তবে তা যেন কোনো কাজেই আসছে না। তাই অভিযানগুলো শুধু লোক দেখানোই কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন তারা। বরিশাল নগরের বটতলা এলাকার বাসিন্দা সুজন হাওলাদার বলেন, টেলিভিশন এবং পত্র-পত্রিকায় দেখছি বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে কার্যত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলা, শশা, টমেটো, বেগুন, খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ডালের দাম বেড়েই চলেছে। তাহলে অভিযান কি কাজে এলো! খুচরা বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৯৫ টাকার ছোলা ঠেকেছে ১১০ টাকায়, এক লাফে ৪০ টাকা বেড়ে মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, খেসাড়ির ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। এছাড়া মুড়িতে কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ টাকা। চিড়া বিক্রি হচ্ছে কেজি ৬০ টাকা এবং চিনি ১৪০ টাকা। এদিকে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে ফলের দাম। পাঁচ টাকা বেড়ে আলুর কেজি ৩৫ টাকা। তবে দাম কমেছে সয়াবিন তেলের। ১৭৩ টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ১৬২ টাকায়। যদিও পাইকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় কিছু কিছু কাঁচা পণ্যের দাম উৎপাদন পর্যায়ে বেড়েছে। তবে ছোলা-চিড়াসহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম তুলনামূলক ঠিক আছে। তবে খুচরা বাজারে কেউ বেশি দামে বিক্রি করলে সেক্ষেত্রে পাইকারদের কিছু করার থাকে না।