গাছে গাছে দুলছে মুকুল

আসতে শুরু করেছে আমের গুটি

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীতে গাছে গাছে দুলছে আমের মুকুল। কিছু গাছে এরই মাঝে আসতে শুরু করেছে গুটি। এবার রাজশাহীর ৮৫ ভাগ গাছে মুকুল আসছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, মুকুল কম আসলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এতেই ভালো উৎপাদন হবে। রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছে। এসব বাগন থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছরে রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৫৭৮.৮ হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছিল। এসব বাগান থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার ছয় মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়। গত বছর আম থেকে আয় হয়েছিল ১৫২৮ কোটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭৭০ টাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আমের মুকুল আসা শুরু হয়েছে। মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত মুকুল আসবে। এখন পর্যন্ত ৮৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। এদিকে, রাজশাহীর বাঘা, চারঘাট ও নগরীর বেশ কিছু এলাকার অগ্রিম জাতের আমের গাছে গুটি এসেছে। এসব গাছে গুটির যত্ন নিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তবে এখনও বেশিরভাগ বাগানে আমের গুটি ফুটেনি। ফলে মুকুলের পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। রাজশাহীর বাঘা এলকার চাষি আব্দুল কাদির বলেন, কিছু গাছে গুটি এসেছে। তবে সব গাছে মুকুল এবার সেভাবে আসেনি। কিছু কুড়ি এখনও আছে। কিছু মুকুল ফুটতে পারে। রাজশাহীর চারঘাট এলকার আম চাষি একরামুল হক বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও যথা সময়ে আমের গুটি এসেছে। আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই সব গাছে গুটি আসবে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাজদার হোসেন বলেন, এবার ৮৫ ভাগ আম গাছে মুকুল এসছে। কিছু গাছে এরই মধ্যে গুটিও দেখা দিয়েছে। রাজশাহীতে এবার প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছে। বাকিগুলোতে পর্যায়ক্রমে চলে আসবে। আমার আশা করছি মুকুল কম হলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কম মুকুলেও ভালো উৎপাদন হবে। যেসব গাছে এখন গুটি এসছে, সেগুলোকে একবার করে স্প্রে করতে পরামর্শ দিচ্ছি। তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু গাছে একবার ভালো ফলন দিলেও পরেরবার আর ভালো ফলন হয় না। ফলে রাজশাহীতে গত বছর বেশ ভালো মুকুল এসছিল। এবার গড়ে ৫৫ ভাগ গাছে মুকুল এসেছে। কিছু গাছে এখনও মুকুল আসবে। তবে সেটি খুব রেয়ার। যেসব গাছে গুটি দেখা দিয়েছে, সেসব গাছে ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করতে হবে। তবেই ক্ষতি কম হবে।