ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গুলশান লেক পরিচ্ছন্ন অভিযান

গুলশান লেক পরিচ্ছন্ন অভিযান

গুলশানের লেকে যারা বর্জ্য ফেলবে তাদের ড্রেনে আমি কলাগাছ থেরাপি দেব বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, গুলশানের লেক দীর্ঘদিন ধরে শুষ্ক অবস্থায় ছিল, পড়তো ময়লা আবর্জনা, ছিল দুর্গন্ধ। এ লেককে পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তবে লেকটি এখনো রাজউকের অধীনে হলেও সিটি করপোরেশন নিজ দায়িত্বেই পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। গতকাল শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও গুলশান সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে গুলশান লেক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, আজকে থেকে এ এলাকায় অভিযান চলবে। যারা বর্জ্য সরাসরি ফেলবে তাদের ড্রেনে আমি কলাগাছ থেরাপি দেব। যাতে এ বর্জ্য আবার তাদের দিকে ব্যাক যায়। ড্রেনের সঙ্গে কেন কানেক্ট দিয়েছে মানুষ। এখানকার একেকটি ফ্ল্যাট ২৫ কোটি, ৫০ কোটি। সেখানে ড্রেনের সঙ্গে একটি চোরাই পাইপ সংযুক্ত করা হচ্ছে। এ ড্রেন দিয়ে শুধু বৃষ্টির পানি যাওয়ার কথা। একটা ছোট ইপিপি প্ল্যান্ট মাত্র তিন লাখ টাকা। এসব প্ল্যান্ট করতে রাস্তার নিচে যতটুকু জায়গা লাগে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা করে দেবে। আমরা চাই, শুধু সরকার না এলাকাবাসীও এগিয়ে আসুক। মেয়র বলেন, গুলশান লেক, বারিধারা লেক এখনো রাজউকের অধীনে আছে। তাদের আমি চিঠি দিয়েছি এগুলোকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে দিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু এ লেক এখনো রাজউকের অধীনে রয়ে গেছে। আমরা তাদের বলেছি এ লেক পরিষ্কার করার জন্য, কিন্তু তারা করেনি, সিটি করপোরেশনকেও দেয়নি। কিন্তু কে আসলো, না আসলো আমরা সেটা দেখবো না। তিনি বলেন, গুলশান মসজিদের সামনে লেক খারাপ অবস্থা হয়ে আছে। এ এলাকার মলমূত্র সব এখানে ফেলা হয়। এটি মেনে নেওয়া যায় না। এ লেকগুলোতে মাছের চাষ হয় না, মশার চাষ হচ্ছে। আমি চাই এ লেকগুলোতে শিশুরা খেলবে। ওয়াটার ট্যাক্সি চলবে। আরও আধুনিক যন্ত্র থাকবে যা দিয়ে তারা খেলবে। কিন্তু পানি হয়ে আছে শতভাগ দূষিত। এখানকার কোনো মানুষ এ লেক থেকে উপকৃত হচ্ছে না। এ এলাকায় অতিরিক্ত মশা, তা এ লেকগুলো থেকে হয়। গুলশান এলাকার মানুষের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এ লেককে পরিষ্কার করে দিচ্ছে। মেয়র আতিকুল বলেন, এখানে গুলশান সোসাইটি মসজিদ আছে। এখানকার মুসল্লিরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, পাশের লেক থেকে দুর্গন্ধ আসে। এসব সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী এম এ আরাফাতকে পরিচ্ছন্নতা ও লেক পুনর্জাগরণ করার এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বললে তারা নিজ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ অনুষ্ঠানে এসেছেন। সরকারের একার পক্ষে একটা সোসাইটিকে সুন্দর করা সম্ভব না যতক্ষণ না এখানকার মানুষই এগিয়ে আসে। আজকে এখানকার বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও শিশুরা এ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ফাউন্ডেশন ও এখানে উপস্থিত হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত