রংপুরে ভাইরাস জ্বর সর্দি বেড়েই চলছে

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

রংপুর অঞ্চলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বেড়েছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার এমন পরিবর্তনে দিনে গরম রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। এ ধরনের আবহাওয়ায় জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিরূপ আবহাওয়া বিরাজ করায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথাসহ বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে। রংপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ মার্চ এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। ১৩ মার্চ সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রি সর্বনিম্ন ১৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১৪ মার্চ ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ১৫ মার্চ ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ১৬ মার্চ সর্বোচ্চ ৩৩ ডিগ্রি, এবং সর্বনিম্ন ১৯ ডিগ্রি, ১৭ মার্চ ৩৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ২০ দশমিক ৬ ডিগ্রি এবং গত সোমবার ১৮ মার্চ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গত মঙ্গলবার ১৯ মার্চ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৬ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ধরনের তাপমাত্রায় দিনের বেলা গরম এবং রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে ফ্যান এসি চললেও রাতে অনেকে লেপ-কম্বল ব্যবহার করছেন। ফলে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরেই ভাইরাসজনিত জ্বর-সর্দি, কাশি মাথাব্যথা দেখা দিয়েছে। এদিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে জ্বর-সর্দি, কাশি, গলাব্যথা, মাথাব্যথাজনিত রোগবালাই বেড়েছে। রংপুর নগরীর নিউ আদর্শপাড়া রোখসানা শিল্পীসহ কয়েকজন জানান, তারা বেশ কয়েকদিন থেকে জ্বর-সর্দিজনিত রোগে ভুগছেন। রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আনুষ্ঠানিক গ্রীষ্মকাল আসতে কিছুটা দেরি থাকলে স্বাভাবিক কারণেই তাপমাত্রা প্রতিদিনই কমবেশি বাড়বে। রংপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. ওয়াজেদ আরী জানান, আবহাওয়ার কারণে এ রকম হচ্ছে। তিনি সবাইকে মাক্স পরিধান করতে এবং ঘন ঘন হাত ধুতে বলেছেন। তিনি অযাথা বাহিরে ঘোরাঘুরি করতে বারণ করেছেন। রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. ইউনুস আলী বলেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে জ্বরের রোগী বাড়ছে। গরম পড়লে মেডিসিন বিভাগে রোগীদের চাপ পড়তে শুরু করে। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে প্রায় ৪৭৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছে।

এ ধরনের তাপমাত্রায় দিনের বেলা গরম এবং রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে। দিনে ফ্যান এসি চললেও রাতে অনেকে লেপ-কম্বল ব্যবহার করছেন। ফলে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরেই ভাইরাসজনিত জ্বর-সর্দি, কাশি মাথাব্যাথা দেখা দিয়েছে।