রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসন কার্যক্রম তদারকিতে কাউন্সিলরদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গত মঙ্গলবার নগর ভবনে মেয়র হানিফ মিলনায়তনে করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ২৪তম সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। মেয়র তাপস বলেন, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যাগুলোর একটি জলাবদ্ধতা। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কার, খাল-নালা-নর্দমা থেকে বর্জ্য অপসারণসহ ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছি। অনেক জায়গায় এখনো কাজ চলমান রয়েছে এবং নতুন করে অনেক জায়গায় কাজ হবে। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনের সুফল ঢাকাবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে মাঠ পর্যায়ে আপনাদের (কাউন্সিলর) তদারকি আরও বাড়াতে হবে। সেসব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অতীতের চেয়ে আরও বেশি মাঠে থাকতে হবে। হাঁটার পথ, রাস্তার ঢাল ও নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রমে কোনো ধরনের গাফিলতি ও অবহেলা যেন না থাকে সে বিষয়ে কাউন্সিলরদের তদারকি জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, আমাদের হাঁটার পথ ও রাস্তার মধ্যে নর্দমার যে মুখগুলো থাকে সেগুলো সংস্কার এবং ঢালগুলো ঠিক করতে এরইমধ্যে প্রকৌশল বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে করে দ্রুত পানি নিষ্কাশিত হতে পারে। এছাড়াও আমাদের নর্দমাগুলোর পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হবে। সেগুলোর দরপত্র কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নর্দমাগুলো যেন সঠিকভাবে পরিষ্কার হয়, এ কার্যক্রমে যেন কোনো ধরনের গাফিলতি-অবহেলা না থাকে সেগুলোও আপনারা যথাযথভাবে তদারকি করবেন বলে আশা করি। দক্ষিণ সিটির সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কাইজার মোহাম্মদ ফারাবী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। বিরূপ আবহাওয়া বিরাজ করায় ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথাসহ বিভিন্ন রোগবালাই দেখা দিয়েছে।