সিগারেটের দাম বৃদ্ধির দাবি

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভোক্তা পর্যায়ে সব ধরনের তামাকজাত দ্রব্য সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে বিক্রি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সদস্যরা। একইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি ও জনস্বাস্থ্যকে বিবেচনায় নিয়ে আসন্ন অর্থবছর উপলক্ষ্যে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও কর প্রস্তাব দিয়েছে তারা। গতকাল সোমবার আসন্ন অর্থবছর উপলক্ষ্যে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করবিষয়ক ওরিয়েন্টেশনে তারা এ দাবি ও প্রস্তাবনা দেয়। বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট এবং বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি যৌথভাবে এই ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানোসহ একটি দীর্ঘস্থায়ী ও শক্তিশালী কর নীতি প্রণয়ন, মোড়কে মুদ্রিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিশ্চিত করতে হবে। আর এমআরপিতে বিক্রি নিশ্চিত না হওয়ায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। তারা বলেন, বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের তুলনায় তামাকজাত দ্রব্য তুলনামূলকভাবে অধিক সাশ্রয়ী। কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ভোক্তার ক্রয়সক্ষমতার বাইরে নিয়ে যাওয়া জরুরি। এতে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে। এই অতিরিক্ত রাজস্ব জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারে ভর্তুকির ক্ষেত্রে ব্যয় করলে জনস্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটবে। অনুষ্ঠানে আসন্ন অর্থবছরের কর প্রস্তাবে বলা হয়েছে— নিম্ন স্তরের প্রতি ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬০ টাকা নির্ধারণ করে ৬৩শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ; মধ্যম স্তরের প্রতি ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৮০ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ; উচ্চ স্তরের প্রতি ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ; এবং প্রিমিয়াম স্তরের প্রতি ১০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এছাড়া ফিল্টারবিহীন বিড়ির ক্ষেত্রে ২৫ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং ফিল্টারযুক্ত বিড়ির ক্ষেত্রে ২০ শলাকার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ২০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এছাড়া প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৫৫ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা এবং প্রতি ১০ গ্রাম গুলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা। এছাড়া সব তামাকজাত দ্রব্যের খুচরা মূল্যের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং একশতাংশ স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ বহাল থাকবে।