বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্মার্ট কলসেন্টারের উদ্বোধন
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
আজ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর প্রধান কার্যালয় বলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের স্মার্ট কলসেন্টার। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বিমান কলসেন্টারের শর্ট কোড ১৩৬৩৬ নাম্বারে কল করে কলসেন্টারের শুভ উদ্বোধন করেন।
কলসেন্টার উদ্বোধনের পূর্বে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পক্ষ থেকে উপস্থিত মিডিয়াতে সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে মিডিয়া ব্রিফিং করা হয়। উপস্থিত মিডিয়া সমুহের নিকটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিটসমূহ বিক্রয়ের জন্য একযোগে বিমান ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস কাউন্টার ও সকল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে উন্মুক্ত থাকার বিষয়টি নিয়ে একটি ডেমোনেস্ট্রেশন করে দেখানো হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম উপস্থিত মিডিয়াসমূহের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট বুকিং ও ক্রয় সকল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমে উন্মুক্ত রয়েছে। আপনি বিমান ওয়েবসাইট, বিমান মোবাইল অ্যাপস, বিমান সেলস কাউন্টার, বিমান অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সির নিকট হতে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। বিমানে কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে এবং ভালো করলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক বিপণন ও বিক্রয় মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। তারা স্যোশাল মিডিয়াতে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিমান কলসেন্টারে গিয়ে মিডিয়াদের বিভিন্ন বিষয়ে জানান বিমান এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও। তিনি বলেন আমরা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কলসেন্টার করেছি। এটি এখন প্রথম ফেইজে আছে। আমরা দ্রুত আউটসোর্সের মাধ্যমে ভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের পার্ট-টাইম নিয়োগ দেওয়া, পৃথক স্থাপনায় কলসেন্টার স্থানান্তরসহ বিভিন্ন আধুনিক ফিচারের সংযোজনের মাধ্যমে স্মার্ট কলসেন্টারের মাধ্যমে অধিকতর যাত্রীসেবা নিশ্চিত করা হবে বলে তিনি জানান। উক্ত অনুষ্ঠানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স ‘বিমান’ প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণের বিষয়ে ছিল বদ্ধপরিকর। ১৯৭২ সালে বিমান প্রতিষ্ঠার পর পরই সম্মানিত গ্রাহকের কাছে সর্বোচ্চ সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য তৎকালীন বিটিটিবি’র (বর্তমান বিটিসিএল) সহযোগিতায় মতিঝিল কার্যালয়ে ‘টেলিফোন সেলস এন্ড সার্ভিস’ চালু করা হয়েছিল, যা স্বাধীন বাংলাদেশে ‘কল সেন্টার’ সেবা প্রণয়নের পথিকৃৎ হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। ১৯৮৮ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মতিঝিল কার্যালয়ে নিজস্ব পিএবিএক্স সিস্টেম স্থাপন করে, যার ফলে টেলিফোনের মাধ্যমে যাত্রীসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিমান আরো এক ধাপ এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে সম্মানিত যাত্রীদের আরো নিকটে পৌঁছাতে ১৯৯৬ সালে বিমানের নব্য স্থাপিত প্রধান কার্যালয় ‘বলাকা ভবন’ এবং এয়ারপোর্টস্থ ‘প্রশাসনিক ভবনে’ দুইটি পিএবিএক্স স্থাপন করে। এই ‘পিএবিএক্স’গুলোর মাধ্যমে ‘৮৯০১৫০০’ এবং ‘৮৯০১৬০০’ নম্বরসমূহে কল করে যাত্রীরা টিকিট এবং অন্যান্য সেবা সম্পর্কে ২৪/৭ সেবা গ্রহণ করেছেন, যা ওই সময়ে যেকোনো সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুসরনীয় ছিল।
উক্ত পিএবিএক্সের মাধ্যমে এক সঙ্গে ১০ জন যাত্রীকে একই সময়ে সেবা প্রদান করা হত। ২০১২ সালে পিএবিএক্স সিস্টেমের সাথে বিমানের রিজার্ভেশন সিস্টেম কে একীভূত করে আধুনিক কল সেন্টারের অবয়বে যাত্রীসেবা প্রদান করা শুরু হয়। ২০১৬ সালে বিমানের পিএবিএক্স ও রিজার্ভেশন সিস্টেমের সাথে ফ্লাইট ডিসপ্লে সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করে যাত্রীবৃন্দকে তাৎক্ষনিকভাবে ফ্লাইটের তথ্য প্রদানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।