শেখ হাসিনা সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
প্রকাশ : ২৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে তিনি নিরলস পরিশ্রম করছেন। স্বাধীনতা দিবসের শপথ হোক প্রতিটি মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতে আনা।
মন্ত্রী গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর মিলনায়তনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান কালে এসব কথা বলেন। সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ. ফ. ম রুহুল হক এম পি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খায়রুল আলম সেখ। মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য এবং একজন মানুষও যেন স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত না হয় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। আমরা যারা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে আছি আমাদের কাজ সে জায়গাটায়। একজনও যেন পিছিয়ে না থাকে। প্রত্যেককে আমাদের উন্নয়নের মূল ধারায় যতদূর সম্ভব নিয়ে আসতে হবে। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা কাজটি করার সুযোগ পেয়েছি। সে দায়িত্বটি আমাদের। মন্ত্রী তাঁর মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তা, কর্মচারীদের উদ্দেশে বলেন, আমরা যারা নতুন দায়িত্ব পেয়েছি এবং আপনারা যারা আগে তেকে কাজ করছেন, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করব। পিতা মুজিব যে কথাটি বলেছেন, তার কন্যা যেটি মনে করেন, জনগণ মানে আমাদের সংবিধানের সাত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণ, দেশের সকল জনগণ। কোনো সাম্প্রদায়গত কারণে, কোনো বৃত্তির বা পেশার কারণে কিংবা ভৌগোলিক কারণে যে মনুষটি কোনো ধরনের প্রন্তিকতার শিকার, সে মানুষটি পর্যন্ত প্রত্যেকটি মানুষকে মূল ধারায় নিয়ে অসতে হবে। আমাদের সে কাজটি করতে গেলে সে দরদ দিয়ে, সেই ভালোবাসা দিয়ে সেই ইতিহাসবোধ দিয়ে দেশের প্রতি, মানুষের প্রতি মমত্ববোধ নিয়ে পিতা মুজিবের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা নিয়ে আমাদের সে কাজটি করতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, শহীদদের রক্তের প্রতি অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের সমাজের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আজকে এ স্বাধীনতা দিবসে সে অঙ্গীকারটি করা আমাদের জন্য জরুরি। যে কাজটি করছি, আমরা সৌভাগ্যবান সমাজকে এগিয়ে নেবার, কল্যাণ করার, সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষটিকে হাত ধরে তাকে টেনে আমাদের উন্নয়নের মূলধারায় নিয়ে আসবার কাজটি করার সৌভাগ্য আমাদের। তাই সকলকেই নিষ্ঠার সাথে কাজটি করতে হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জঞ্জাল পরিষ্কার করেছেন। সেই জঞ্জাল আমাদের পরিষ্কার করতেই হবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই হবে।
তিনি আজকে দেশকে উন্নয়নের একটি জায়গায় নিয়ে এসছেন। আমরা আজকে যখন এই বিশাল বিশাল অবকাঠামো দেখি, পদ্মা সেতু, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, পায়রা সমুদ্রবন্দর, রূপপূর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেখি, এসব কিছুই তার নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের দিকে সারা বিশ্ব অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে থাকে। পদ্মা সেতু করতে দেবেনা, সাহসী পিতার সাহসী কন্যা করে ফেললেন পদ্মা সেতু। সারা বিশ্বকে, বিশ্ব মোড়লদের চোখ রাঙানীকে উপেক্ষা করে, নিজস্বে অর্থায়নে সেতু হলো। সারা বিশ্বে মোড় ঘুরে গেল বাংলাদেশের। পৃথিবী সম্মানের সংগে সমীহ করতে শুর করল বাংলাদেশকে। আজকে এ সমীহ ও সম্মান এসছে কারণ পিতা মুজিবের সুযোগ্য কন্যা আমাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদের এগিয়ে যেতেই হেবে। আমাদের কোনো অপশন নেই। আমাদের তরুণ প্রজন্মের উপর আমাদের অগাধ বিশ্বাস। আমরা একসময় বলতাম আমদের তরুণরা খুব আত্মকেন্দ্রিক। আমাদের তরুণরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে ফেটে পড়ল। শাহবাগ থেকে সেটার ঢেউ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছিল। আমাদের তথ্য প্রযুক্তির যে অগ্রগতি সেখানে তরুণরা এগিয়ে যাচ্ছে। যারা মিথ্যাচার দিয়ে জাতিকে বারবার বিভ্রান্ত করতে চায়।