ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুরে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

ট্যাক্স প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে রংপুরে বিড়ি শ্রমিকদের মানববন্ধন

বিড়ি শিল্পে ট্যাক্স ও অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বৃহত্তম রংপুর অঞ্চল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রংপুর কালেক্টরেট সুরবি অদ্যান এর সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তার। শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো- বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোনো ট্যাক্স ছিল না, তাই বর্তমানে বিড়ি শিল্পের উপরে কোনো ট্যাক্স না রাখা, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করা, বিদেশি কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ করা এবং বিড়ি শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা। মানববন্ধন শেষে রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিকরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘বিড়ি এ দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে প্রায় ২০০টি বিড়ি কারখানা রয়েছে। এসব বিড়ি কারখানায় এ অঞ্চলের হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, বন্যাকবলিত জনগণ, শারীরিক বিকলাঙ্গসহ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বিকশিত হয়েছিল এই শিল্প। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্ক মুক্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রে বিড়ির ওপর মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অসম শুল্কের ভারে প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি মালিকরা কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। একইসাথে শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। যেহেতু বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোনো ট্যাক্স ছিল না, সুতরাং বর্তমানেও বিড়ি শিল্পের উপরে কোনো ট্যাক্স না রাখার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। বক্তরা আরো বলেন, দেশের অর্থনীতিতে বিড়ি শিল্পের মালিকদের অবদান অপরিসীম।

তারা এ দেশে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানী ও দেশের কিছু এনজিও এই শিল্পকে ধ্বংস করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বর্তমানে নিম্নস্তরের সিগারেট টোব্যাকো মার্কেটের ৭৫ শতাংশ দখল করে আছে।

এসব নিম্নস্তরের সিগারেটের সিংহভাগই বিদেশি কোম্পানির। দেশিয় শ্রমঘন বিড়ি শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষার্থে বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানীর নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধের দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া সিগারেট ও বিড়ি একই গোত্রভূক্ত হওয়া সত্ত্বেও দুটোর মাঝে বৈষম্য বিরাজ করছে এবং বিড়িকে অসম প্রতিযোগিতায় বাধ্য করা হচ্ছে। বিড়িতে অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ আর সিগারেটে ৩ শতাংশ। বিড়ি দেশিয় শ্রমিকনির্ভর শিল্প হিসেবে এই শিল্পের উপর থেকে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার করতে হবে। বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত