ঢাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ খোলা মাঠে

অনুমতি ছাড়াই চলছে মেলা

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আইন কিংবা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে মেলার আয়োজন চলছেই। কোথাও স্বাধীনতা দিবস, কোথাও আসন্ন ঈদ, কোথাও আবার বৈশাখ উপলক্ষ্যে এসব মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজিত এসব মেলার অধিকাংশই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করেছে। মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, এবার খোলা মাঠে মেলা আয়োজনের অনুমতিই দেয়া হয়নি। যারাই মেলা আয়োজন করবে, ইনডোরে আয়োজন করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে কখনোই এসব মেলার আয়োজনের অনুমতি নেই। কারণ এটি আইনেই নিষিদ্ধ রয়েছে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও কোনো রকমের মেলার আয়োজন করা যাবে না- এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আইনে বলা আছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, যদিও বাস্তব চিত্র সব আইন ও নিয়মের বিপরীত। খোলামাঠেই চলছে মেলার আয়োজন। ঢাকায় অধিকাংশ মেলায় আয়োজকদের ব্যানারে উল্লেখ করা হয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় থেকে এখন পর্যন্ত মেলা আয়োজনের অনুমতি পেয়েছে মাত্র দু’-চারটি। অথচ মেলা আয়োজন হয়েছে তারও কয়েকগুণ বেশি। এদিকে অনিয়মের মধ্য দিয়ে মেলা আয়োজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রয়েছে অভিযোগের অপেক্ষায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার সংলগ্ন খালি মাঠে আয়োজন করা হয়েছে ৪৫ দিনব্যাপী দেশীয় জামদানি শিল্পপণ্য ও বৈশাখী বাণিজ্যমেলা-২০২৪। মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বেনারসি মসলিন অ্যান্ড জামদানি সোসাইটি। গত ২৪ মার্চ মেলাটির উদ্বোধন করা হয়। আয়োজকরা তাদের প্রচারের ব্যানারে উল্লেখ করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ডিএমপির অনুমতিক্রমে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি অনুবিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ রেহান উদ্দিন (রপ্তানি-৭ শাখা) গণমাধ্যমকে বলেন, রমজানে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ একাধিক বিষয় মাথায় রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় খোলামাঠে মেলা আয়োজন আপাতত ঈদ নাগাদ বন্ধ রেখেছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে মেলা আয়োজনের বিরুদ্ধে আইন থাকায় কখনোই-এর অনুমতি দেয় না বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বর্তমানে যেসব মেলার আয়োজন হচ্ছে বা মন্ত্রণালয়ের কাছে আয়োজনের অনমুতি চাইছে তাদের মধ্য থেকে শুধু যারা ইনডোরে আয়োজন করবেন তাদেরই অনুমতি দেয়া হচ্ছে। যেমন- কমিউনিটি সেন্টার, ক্লাব এসব স্থানে যারা আয়োজন করবেন তারাই শুধু অনুমতি পাবেন। জানতে চাইলে, এখন পর্যন্ত ঠিক কতটি মেলা আয়োজনের অনুমতি দেয়া হয়েছে ঢাকায় তার সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।