গত বছর ছয় মাসে পারিবারিক শিক্ষা ব্যয় তার আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিকে বেড়েছে ২৫ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে বেড়েছে ৫১ শতাংশ। এর আগে ২০২২ সালে প্রাথমিকের একজন শিশুর জন্য পারিবারিক গড় ব্যয় ছিল ১৩ হাজার ৮৮২ টাকা, মাধ্যমিকে ছিল ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। যা গ্রাম ও শহরে কিছু ভিন্নতা আছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় সিরডাপ মিলনায়তনে গণসাক্ষরতা অভিযানের আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিদ্যালয় শিক্ষা : মহামারী উত্তর টেকসই পুনরুত্থান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এডুকেশন ওয়াচণ্ড২০২৩ প্রতিবেদনে এমন চিত্র পাওয়া যায়। প্রতিবেদন উপস্থাপনে বক্তারা জানান, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতিতে অভিভাবকদের আর্থিক সক্ষমতা কমেছে। অন্যদিকে বেড়েছে শিক্ষা ব্যয়। এ কারণে দিনে দিনে শিক্ষা অর্জন অপসনাল হয়ে পড়ছে। প্রতিবেদনের তথ্য জানিয়ে তারা বলেন, করোনা সময়ে শ্রেণিকক্ষে যথাযথ পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা গাইডবইয়ের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। প্রতিবেদনের তথ্য মতে, করোনা-পরবর্তী সময়ে নোটগাইডের প্রতিনির্ভরতা ছিল প্রাথমিকে ৯২ শতাংশ এবং মাধ্যমিকে ৯৩ শতাংশ। এ সময় উভয় স্তরের প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী জানায়, শ্রেণিকক্ষে তাদের পাঠ বোঝার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, এডুকেশন ওয়াচের আহ্বায়ক ড. মোশতাক রেজা চৌধুরী, সঞ্চালকের বক্তব্য দেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী এবং উপ-পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য দেন এডুকেশন ওয়াজের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন এডুকেশন আছে এর মুখ্য গবেষক ড. মনজুর আহমদ, গবেষক দলের সদস্য ড. সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক মাহফুজা খানম এবং ড. মোস্তাফিজুর রহমান।