রাজশাহীর আড়ানীতে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে পারাপার হচ্ছে ৩০টি ট্রেন
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী ব্যুরো
রাজশাহী-ঢাকা-খুলনা-সৈয়দপুর রেলপথে রাজশাহীর আড়ানী বড়াল নদীর উপর ব্রিটিশ আমলে নির্মিত সেতুটি বয়সের ভারে দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন এবং ২ থেকে ৩টি মালবাহী ট্রেন যাতায়ত করে। রেল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরই আগে দুইবার রেললাইন ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার চারঘাট ও বাঘা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় বড়াল নদীর উপর ১৯২৭ সালে এই রেল সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। রেলওয়ে সেতু নং ১৪। এই সেতুতে ২৭৩টি উইডেন স্লিপার রয়েছে।
রাজশাহী-ঢাকা-খুলনা-সৈয়দপুর রুটে রেলপথে হাজারো যাত্রী চলাচল করে। বর্তমানে সেই সেতুটিতে স্লিপার ভাঙ্গা, ফাঁটা অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া রেল লাইনের স্লিপারের উপর দুই ধারে ৪টি করে ডপ পিন (লোজার পিন) লাগানোর নিয়ম থাকলেও কোথাও ১টি, কোথাও ২ এবং কোথাও ৩ অথবা ৪টি লাগানো রয়েছে। আবার কোথাও ডপ পিনের স্থানে কাঠের চলটা এবং পেরাক লাগানো রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও সেই বাটাম ও বাঁশের চলটা ভেঙে গেছে। যা অত্যান্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এর আগে দুইবার রেললাইন ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঝুঁকিপূর্ণ রেল ব্রিজ দ্রুত সংস্কার না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে রেলযাত্রী ও এলাকাবাসী। আড়ানী রেলগেট কিপার লায়েব উদ্দিন জানান, রেল সেতুর সমস্যাগুলোর কথা আমরা স্যার দের জানিয়েছি তারা ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন। মতবে এ বিষয়ে গতকাল রোববার সকালে পশ্চিমঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপককে মন্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দেওয়ার পর সেই রেল সেতুতে মেরামতের লোক লাগানো হয় বলে জানা যায়।
পশ্চিমঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক জানান, আমি রেললাইন পরিদর্শন করেছি। আজ থেকেই সেতু মেরামতের লোক লেগেছে। তারা কাজ করছে।
এ ব্যাপারে পশ্চিমঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদার জানান, রেল সেতু দেখার দায়িত্ব প্রধান প্রকৌশলীর তার সঙ্গে কথা বলেন। ডপপিন কয়টা থাকবে সেটা নির্ভর করবে সেতুর দৈর্ঘর উপর। আর সেতুতে বাঁশের বাতাও লাগানো থাকতে পারে, এটা দোষের কিছু না।