সেবা নিতে একবার দেওয়া তথ্য আর দ্বিতীয়বার সরকারকে দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর বিভাগের প্রধান ক্রিস্টি ক্যারেলসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এস্তানিয়ার ই-গভর্নেন্সে অ্যাকাডেমির সঙ্গে একটি পাইলট প্রকল্প শুরু করেছি। যেখানে এস্তোনিয়ার যে কৌশল, সেটা কাজে লাগানো হবে। সেখানের ১৩ লাখ মানুষ কখনো সরকারকে একটি তথ্য দিলে দ্বিতীয়বার আর দিতে হয় না। প্রযুক্তি সফলতার কথা তুলে ধরে তা বাংলাদেশেও প্রয়োগ করার কথা জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ বলেন, কেউ যদি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য একটি তথ্য একবার দেন, এরপর কেউ যদি পাসপোর্ট করতে যান, তাহলে একই জিনিস তাকে দ্বিতীয়বার দিতে হবে না। তাদের যে প্রযুক্তিগত কাঠামো আছে, সেগুলো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণেও কাজে লাগানো সম্ভব। প্রতিমন্ত্রী বলেন, নাগরিককেন্দ্রিক সুবিধা দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য হবে। এতে সময় ও খরচ কমে যাবে। পাশাপাশি দুর্নীতি ও হয়রানিমুক্ত সেবা দেওয়া হবে। এটা করতে এস্তোনিয়ার সাফল্য ও সক্ষমতা ব্যবহার করব। পাশাপাশি এস্তোনিয়ার প্রযুক্তিগত জ্ঞান অনেক আছে, কিন্তু দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ নেই। কারণ সেটা ১৩ লাখ মানুষের একটি দেশ। আর আমরা ১৭ কোটি মানুষের দেশ। তিনি বলেন, দুদেশের মধ্যকার এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম যাতে আরও ঘন ঘন হয়, সে বিষয়ে কথা হয়েছে। দিল্লি থেকে যে রাষ্ট্রদূত এসেছেন, তিনিও আগামীতে সহযোগিতা বাড়াবেন। ডাক ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও এস্তোনিয়ার মধ্যে আইটি সম্পৃক্ত একটি বিজনেস পোর্টাল চালু করব। একটি সমঝোতা স্মারকও সই করা হবে। রপ্তানি আয় বাড়ানো ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয় থাকবে এই সমঝোতায়। আগামীতে এস্তোনিয়ায় আমাদের আইটি রপ্তানির কেন্দ্র হবে। পাশাপাশি তাদের বিনিয়োগও বাংলাদেশে বাড়বে।