ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তীব্র গরমে যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী

ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ
তীব্র গরমে যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী

রাজধানীতে যানজট নিত্যদিনের সঙ্গী। যানজটের কারণে প্রতিদিন ভোগান্তি নিয়ে চলাফেরা করতে হয় নগরীর বাসিন্দাদের। তবে গত কয়েকদিনের তীব্র গরমের সঙ্গে যানজট যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়েছে কয়েকগুণ। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসেও নগরীর সড়কগুলোতে দেখা গেছে একই চিত্র। গতকাল বিকালে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে অফিস শেষে রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, সায়েন্সল্যাব, জিগাতলা, মোহম্মাদপুর, আসাদগেট, আড়ং, ধানমন্ডি ২৭, ধানমন্ডি ৩২, কলাবাগান, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, শান্তিনগর, কাকরাইল, নাইটেঙ্গেল মোড়, গুলিস্তান, ওয়ারী, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কুড়িল, নতুনবাজার, বাড্ডা, প্রগতি সরণি, রামপুরা, মিন্টুরোড, গুলশান-১, গুলশান-২ এলাকার সড়কগুলোয় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকায় প্রধান সড়কের এক একটি সিগনাল পার হতে যানবাহনগুলোকে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

একদিকে, ইফতারের আগে চাকরিজীবীদের ঘরে ফেরার তাড়া; অন্যদিকে, ঈদের কেনাকাটা করতে বের হওয়া মানুষের চাপ, তার ওপর সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। এই তিন কারণে মিলে অফিস শেষে রাজধানীজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। তার ওপর গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে অনুভূত হচ্ছে চৈত্রের তীব্র গরম। ফলে তীব্র গরমে এই যানজটে আটকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবীসহ সাধারণ যাত্রীদের। রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে যানজটে আটকে থাকা বিকাশ পরিবহনের হেলপার আব্দুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আজিমপুর থেকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর পর্যন্ত আসতে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। এরপর খামারবাড়ি-বিজয় সরণি-বনানী এসব জায়গায় তো যানজটে পড়তেই হবে। ইফতারের আগে উত্তরা পৌঁছাতে পারব কি না কে জানে। মিরপুর মেট্রো সার্ভিসের হেলপার ইমরানও বললেন একই কথা। তিনি বলেন, সকালে অফিস শুরুর সময় যানজট থাকে। আবার শেষেও যানজট বাড়ে। এখন আবার ঈদের সময়। সবাই কেনাকাটা করতে বের হচ্ছেন। যার কারণে যানজটের মাত্রা বেশি। তবে ঢাকা শহরে যানজট তো সব সময়ই থাকে। নিউমার্কেট এলাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেন বনানীর বাসিন্দা হাসানুজ্জামান।

তিনি বলেন, প্রায় পৌনে এক ঘণ্টায় নিউমার্কেট থেকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর এসেছি। এরপর বিজয় সরণি পার হতে ঠিক এই সময়ই লাগবে। এতো রাস্তা তৈরি হচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে; কিন্তু সড়কে যানজট তো কমছে না। তীব্র গরমে রোজা রেখে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমিনুল ইসলাম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ঈদের সময় অনেকে কেনাকাটা করতে এসে রাস্তার ওপর গাড়ি রাখেন। এতে রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়। আর যানজট তো রাজধানীতে নতুন কিছু নয়। আমরা ভোগান্তি নিয়েই সব সময় চলাফেরা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত