বরিশাল নগরীতে চাহিদার চেয়ে প্রায় প্রতিদিনই ৩০-৪৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি থাকায় লোডশেডিংয়ের কারণে উত্তাপে পুড়ছে নগরবাসী। ঈদকে কেন্দ্র করে শপিংমল ও কারখানা এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আবাসিক এলাকায় অধিক লোডশেডিং করা হচ্ছে। এ কারণে গত কয়েক দিনের লোডশেডিংয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে বরিশালের ১ লাখ ২০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক পরিবারের। বিদ্যুতের গ্রাহক ব্যবসায়ী সুমন বলেন, গরম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে। এ কারণে ঘরে বাইরে কোথাও শান্তি মিলছে না। গরমে আমরা খুব কষ্টে আছি। নগরীর প্যারারা রোডের বাসিন্দা মারুফ হাওলাদার বলেন, একাধিকবার লোডশেডিংয়ের কারণে ইফতার ও সেহেরির আগে-পরের সময়ে গরমে চরম ভোগান্তি হয়। এ সমস্যা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) বরিশালের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রুবেল কুমার দে বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া শপিংমলে বিক্রি বেড়েছে, তাই রাত অবধি শপিংমল খোলা থাকছে। একই সময়ে জাতীয় গ্রীড থেকে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।