মাটির দুই ফুট নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল তিন কেজি হেরোইন। যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩ কোটি টাকা। গতকাল সকালে রাজশাহীর গোদাগাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে এ হেরোইন জব্দ করে র্যাব-৫। এ সময় হেরোইন মজুতের দায়ে মো. রাসেল নামে এক মাদককারবারিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। রাসেল রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চরভুবনপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে। সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে এই বিপুল পরিমাণ হেরোইন বাংলাদেশে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব সূত্র। র্যাব জানিয়েছে, অভিযানের সময় সীমান্ত লাগোয়া চরভুবনপাড়া গ্রামের আরেক বাসিন্দা এবং মাদককারবারি আবদুর রহিম পালিয়ে গেছেন। তিনি এই গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। অভিযানের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এসব তথ্য দেন। তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে র্যাব-৫ সদস্যরা পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে দুর্গম চর যান। তারা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রহিমের বাড়ি ঘেরাও করেন। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে রহিম বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে বের হয়ে সীমান্তের দিকে পালিয়ে যান। তবে তার ব্যবসায়িক অংশীদার রাসেল র্যাব সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন। আটকের পর রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি ওই চরে থাকা পার্শ্ববর্তী এক ব্যক্তির ফসলের খেতের ভেতর মাটির দুই ফুট গভীরে পুঁতে রাখা হেরোইন বের করে দেন। র্যাব-৫ অধিনায়ক আরো জানান, রাসেল ও রহিম দীর্ঘদিন থেকেই হেরোইনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা সীমান্তের ওপার থেকে হেরোইন নিয়ে এসে বিক্রির জন্য মাটির নিচে পুঁতে রেখেছিলেন। উদ্ধার করা তিন কেজি হেরোইনের মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে গ্রেপ্তার রাসেলকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক রহিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।