‘বর্ষবরণে কোনো বিধিনিষেধ মানা হবে না’
প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেছেন, পহেলা বৈশাখে বিকাল ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটি আমরা মানছি না। এবার আমরা যার যার মতো সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান শেষ করব। গতকাল রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এবারও শোভাযাত্রায় দেশীয় লোকজ উপকরণের মোটিফ থাকছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। নিরাপত্তা দেওয়ার নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শোভাযাত্রা বেষ্টন করে না রাখতে আহ্বান জানান সংস্কৃতিজনেরা। সেই সাথে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কথা মতো সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা মানা হবে না বলে জানিয়েছে সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোট। পহেলা বৈশাখে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করবে বলে জানান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, পহেলা বৈশাখে ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটি আমরা মানছি না। এবার আমরা যার যার মতো সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান শেষ করব। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও আয়োজনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমরা যদি পহেলা বৈশাখ উদযাপন না করি, তাহলে মৌলবাদ শক্তিশালী হবে। পহেলা বৈশাখ একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব। মৌলবাদ ঠেকাতে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরো বলেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রধান অনুসঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এটি ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য। বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। নাড়ির স্পন্দন। দীর্ঘ বছর চলে আসা বাংলা নববর্ষ উদযাপন ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা অপ্রয়োজনীয়।