অফিস খুললেও চেনারূপে ফেরেনি ঢাকা

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গত কয়েকদিনে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছে প্রায় সোয়া কোটি মানুষ। ঈদের ছুটি শেষে গতকাল থেকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও আগের মতো কোলাহল নেই রাজধানীতে। এখনো ফাঁকা ঢাকার ব্যস্ত সড়কগুলো। যদিও এখনো বন্ধ রয়েছে- সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

অনেক স্থানে খুলেছে দোকানপাট, খাবারের হোটেল রেস্তোরাঁ। তবে ক্রেতা হাতে গোনা। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত সরেজমিন রাজধানীর মিরপুর-১, আগারগাঁও, শিশুমেলা শ্যামলী, আদাবর, কল্যাণপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতো সড়কে গণ-পরিবহন নেই, মূল সড়কে চলছে লেগুনা, সিএনজি ও রিকশা। অনেক দোকানপাট এখনো খুলেনি। যেসব দোকানপাট বা মার্কেট খুলেছে সেখানে ক্রেতা হাতে গোনা। আগারগাঁও ৬০ ফিটের একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে দেখা যায়, ভিড় একেবারে নেই বললেই চলে। যারাও আসছেন, খাবার পার্সেল নিয়ে চলে যাচ্ছেন। সালমান হোসেন নামে একজন ক্রেতা জানান, সকালে ঢাকা নেমেছি। বাসায় সকালে খাওয়ার মতে কিছু ছিল না। তাই কিছু খাবার কিনলাম। বাসায় নিয়ে খেয়ে আবার অফিসে ঢুকতে হবে। আগারগাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কে নেই যানবাহনের চাপ। ফুটপাতেও কম পথচারী। সড়কে চলাচল করা অধিকাংশই ব্যক্তিগত যানবাহন। শ্যামলী স্কয়ার মার্কেট খুললেও অনেক দোকানই বন্ধ, বাইরে থেকে সাটার লাগানো।

ভেতরে কিছু দোকান খুললেও ক্রেতা নেই বললেই চলে। মার্কেটের নিরাপত্তা কর্মী সোহেল বলেন, মার্কেট পরশু থেকেই খোলা। ১৩ এপ্রিল কিছু ক্রেতা ছিল। তবে গত দুই দিন ক্রেতা নেই। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার রাস্তাগুলো ও ট্রাফিক সিগনালগুলোতে এখনো বাড়েনি গাড়ির চাপ। আফলা সরকার নামে এক সিএনজি চালক বলেন, রাস্তা খালি, এয়ারপোর্ট থেকে শ্যামলী আসতে সর্বোচ্চ সময় লাগছে ২৫ মিনিট। এমন নির্বিঘ্ন চলাচল অন্য সময়ে সম্ভব হয় না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক মিরপুরের দারুসসালাম জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) কাজী মাহাবুব আলম বলেন, ঈদের ছুটি শেষ? ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে সড়কে সেরকম কোনো চাপ নেই। সড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করছে যানবাহন। পুরোপুরি ব্যস্ততা ফিরবে আগামী শনি বা রোববার। দারুসসালাম জোনের সহকারী কমিশনার মফিজুর রহমান পলাশ জানান, ঈদের ছুটির আমেজ শেষ হয়নি। তাই মিরপুরের মার্কেট কেন্দ্রিক মানুষের যাতায়াত কম।