বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহারসহ চার দাবিতে মানববন্ধন
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
বঙ্গবন্ধুর আমলে বিড়ি শিল্পে কোনো শুল্ক ছিল না। তাই আগামী বাজেটে বিড়ির শুল্ক প্রত্যাহার, অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, বিদেশি কোম্পানির নিম্নস্তরের সিগারেট বন্ধ এবং বিড়ি শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়ন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান বিড়ি শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে পাবনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন শ্রমিকরা। মানবন্ধনে বিড়ি শ্রমিকরা বলেন, বিড়ি শিল্প দেশের প্রাচীন শ্রমঘন একটি শিল্প। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে এই শিল্পের দ্বার উন্মোচিত হয়েছিল। তিনি এই শ্রমঘন শিল্পটি শুল্কমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন।
পাবনা অঞ্চলসহ সারা দেশের ১৮ লাখ হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা, শারীরিক বিকলাঙ্গ শ্রমিক বিড়ি কারখানায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বিড়ি শ্রমিকদের দুর্দশা লাঘবের জন্য এবং তাদের কর্ম রক্ষার্থে মহান জাতীয় সংসদের বাজেট বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বিড়ির ওপর কর কমিয়ে সিগারেটের ওপর একটু বেশি কর বাড়িয়ে দিতে হবে। সুতরাং বঙ্গবন্ধুর সময়ের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলেও বিড়ি শিল্পের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি হারিক হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিন উদ্দিন বিএসসি, সহ-সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইসলাম, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, আবুল হাসনাত লাভলু, আনোয়র হোসেন, রানী খাতুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান, পাবনা জেলা বিড়ি মজদুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আলম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক দুলাল মোল্ল্যা, সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল শেখ, কোষাধ্যক্ষ টোকন রায়, শ্রম সম্পাদক চামেলি খাতুন প্রমুখ।