রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট না বসাতে রিট

প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে রাজধানীর আফতাবনগরে পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ গতকাল সোমবার এ রিট করেন। তিনি জানান, বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের আদালতে রিটের শুনানি হতে পারে। গত ৪ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ঈদুল আজহা ২০২৪ উপলক্ষ্যে কোরবানি পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেন। এ বিজ্ঞপ্তিতে ১১টি হাটের কথা উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে আফতাবনগর হাটের অংশ বাতিল চেয়ে সিটি কর্পোরেশনকে ৮ এপ্রিল আইনি নোটিশ দেন ইউনুছ আলী আকন্দ। তাতে সাড়া না পেয়ে গত সোমবার হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান ভূমি অফিসারসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আইনজীবী জানান, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) ২০০৯ আইনের ধারা ৩ (২) ও ১ম তপশিল অনুযায়ী আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) বাড্ডা থানার ৩৭ নং ওয়ার্ড অধীন, যা ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত, এ এলাকার কাউন্সিলরও ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত এবং ২০২৩ সালে ঢাকা নর্থ সিটি কর্পোরেশন পশুর হাটের জন্য ইজার বিজ্ঞপ্তি দিলে রিট করার পর ওই ইজারা হাইকোর্ট স্থগিত করেন। পরে নর্থ সিটি কর্পোরেশন আপিল করলে আপিল বিভাগ এল ব্লকের পর থেকে ২০২৩ সালের জন্য ইজারা দেওয়ার অনুমতি দেয়। ফলে গত বছর এল ব্লকের পর থেকে পশুর হাট হয়, কিন্তু হাইকোর্টের রিটের কারণে এ ব্লক হইতে এইচ ব্লক পর্যন্ত পশুর হাট গত বছর বসানো হয়নি। আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং), ধানমন্ডি-গুলশান-বারিধারা-বসুন্ধরার মতো রাজউক অনুমোদিত একটি পরিকল্পিত আবাসন এলাকা, এখানে বিচারপতিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ ছোট-বড়সহ বহুতল বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে, এই বিশাল আবাসন এলাকায় প্রায় ৭ হাজার প্লট বরাদ্দ দেওয়া আছে। এ অবস্থায় ওই এলাকায় পশুর হাট হলে সমগ্র আফতাবনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।