রানা প্লাজার দুর্ঘটনা-পরবর্তী অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানামুখী সহযোগিতা ও কমপ্লায়েন্সের সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য কর্মক্ষেত্রকেও আগামী দিনে নিরাপদ করে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ট্রেড ইউনিয়ন ও নাগরিক সমাজ নেতা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত ‘নিরাপদ কর্মক্ষেত্র তৈরির অর্জন ও চ্যালেঞ্জ: রানা প্লাজা পরবর্তী উদ্যোগুলোর অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, নিহত শ্রমিকদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পোশাক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। সব পক্ষের এই উদ্যোগকে টেকসই করার মূল লক্ষ্য হচ্ছে- একটি সত্যিকার ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন এবং সেই শ্রমিক আন্দোলনের নেতৃত্বে জাতীয় কর্মসূচির আওতায় একটি যুগোপযোগী কর্মসূচি গ্রহণ করা। পাশাপাশি ট্রেড ইউনিয়নকে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করেই শিল্প সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
উপস্থিত বক্তারা আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী বাড়ানো এবং এর আধুনিকায়ন নিশ্চিত করে দুর্যোগ মোকাবিলায় একে সক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। এর পাশাপাশি দুর্যোগ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে তা পরবর্তী সময়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজে লাগাতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে বিলসের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিরাজ বলেন, বিলস কোনও রাজনৈতিক এবং ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থা নয়। বিলস বাংলাদেশের জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থাগুলোকে আরও বেশি জোরদার করার সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ গঠন হওয়ার মাধ্যমে এক সময় বাংলাদেশে যে আন্দোলন হয়েছিল তার ফলে কিন্তু সরকারের পতন পর্যন্ত হয়েছিল। এখন আগামী দিনেও যদি এই শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কর্মকাণ্ড আগের যৌবনে ফিরে এসে, তারা যদি তাদের কর্মকাণ্ডে অবতীর্ণ হন তাহলে বিলসের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা তারা পাবে।