ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সারা দেশে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত

সারা দেশে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত

প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার আন্তর্জাতিক শব্দসচেতনতা দিবস হিসেবে পালিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও গতকাল নানাবিধ কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় দিবসটি পালিত হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় আজ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ইং তারিখে নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়েছে। ‘আসুন সবাই শব্দদূষণ হ্রাসে সচেষ্ট হই’ এই মূল বার্তাটির উপর ভিত্তি করে সকল অংশীজনকে নিয়ে দিবসটিকে ঘিরে দেশব্যাপী বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে একযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। একইসাথে ক্যাম্পেইন, মানববন্ধন, র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পুলিশ, ইমাম, পরিবহন মালিক ও চালকদের প্রতিনিধি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, কারখানা ও নির্মাণ শ্রমিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা প্রতিটি আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি নাগরিকদের দায়িত্বশীলতা ও সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের প্রথম সারির বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিকে দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে সচেতনতামূলক রঙিন গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জনসচেতনতামূলক ব্যানার ও ফেস্টুন টানানো হয়েছে। সরকারি সকল ওয়েবসাইটে পপ-আপ প্রদর্শন করা হয়েছে ও বিটিআরসি’র সহযোগিতায় সকল সেল ফোনে সচেতনতামূলক বার্তা প্রেরণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, চলমান প্রকল্পটির আওতায় সাংবাদিকসহ সব পর্যায়ের অংশীজনদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান আছে। মাঠপ্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সারা দেশে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। ৬৪ জেলায় শব্দের মানমাত্রা পরিমাপ বিষয়ক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা সম্পন্ন হয়েছে যার ভিত্তিতে পেশাজীবীদের উপর শব্দদূষণের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত