সুপেয় পানির অভাব সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চলে

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বিজয় ঘোষ, রাজশাহী ব্যুরো

বরেন্দ্র অঞ্চলে প্রতিবছর নামছে পানির স্তর। সেই সঙ্গে বাড়ছে অস্বাভাবিক হারে তাপমাত্রা। প্রতিবছর তাপপ্রবাহ শুরু পর রাজশাহী অঞ্চলে পানির সংকট দেখা দেয়। চলমান তাপপ্রবাহ ও তীব্র খরায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।

সুপেয় পানির জন্য হাহাকার সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চলে। টানা দাবদাহের কারণে ভুট্টা ও পাটসহ নানা ধরনের ফসলের আবাদ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। সেচ সংকটে পড়েছে বোরো ধানের খেত। ঝরে পড়ছে গাছের আম। ছোট অবস্থাতেই ফেটে যাচ্ছে লিচু। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই অঞ্চলের অর্থনীতি।

উত্তরাঞ্চলে পানির সংকট বেশি তানোর উপজেলায়। এই উপজেলা বরেন্দ্র অঞ্চলের মধ্যে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর থেকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-নওগাঁ ও নাটোরের প্রায় সব উপজেলাতে খরা মৌসুমে ভূ-গর্ভস্থ পানি নিয়ে সংকট দেখা দিতে শুরু করেছে।

তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভার একটি বড় এলাকাজুড়েই পানির সংকট দীর্ঘদিনের। এখানে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। পাঁচন্দর মাহালীপড়া গ্রামের মাহালী সম্প্রদায়ের বসবাস। প্রায় ১ কিলোমিটার দূর থেকে তাদের গৃহস্থালি কাজ ও খাওয়ার জন্য পানি আসতে হয়। একই চিত্র বাঘা উপজেলার শিমুলিয়া এবং পাটিয়াকন্দি গ্রামে। টিউবওয়েল ও ডিপ টিউবওয়েল দিয়ে গত ২০ দিন থেকে পানি উঠছে না। এসব গ্রামের মানুষকেও পানি সংগ্রহের জন্য দূর-দূরান্তে ছুটতে হচ্ছে। গ্রামগুলোর প্রতিটি পরিবারের দুঃখ ও কষ্টের নাম ‘পানি’। প্রকৃতির নিষ্ঠুরতার কাছে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের বিভিন্ন স্থানে গভীর নলকূপ থাকলেও সেগুলো থেকে এখন পানি আর মিলছে না। অনেকেই দূর গ্রাম থেকে পানি নিয়ে আসছেন। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, দূর গ্রাম থেকে পানি আনতে গিয়ে গর্ভপাত ঘটে এক নারীর। এ অবস্থায় অনেকে গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছেন। পাঁচন্দর মাহালীপাড়া গ্রামের অনেক আবাদি জমি সেচের অভাবে অনাবাদি পড়ে রয়েছে।