নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর

প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণসহ নিরাপদ প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয়েছে, বেড়েছে গড় আয়ু এবং গড় উচ্চতা। আর এক্ষেত্রে ভেটেরিনারিয়ানদের অবদান অনস্বীকার্য।

গতকাল শনিবার খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আহুত সবুজ বিপ্লবের কৃষি দর্শনের ফলে আজ আমরা খাদ্য উৎপাদনের প্রায় সবগুলো খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে পুষ্টি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। ভেটেরিনারিয়ানদের প্রাণিসম্পদের প্রাণ হিসেবে অভিহিত করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পুষ্টি ও আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নয়, বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের রাস্তাও তৈরি করতে হবে। আর এটা করার জন্য ভেটেরিনারিয়ানদের যোগ্যতম জায়গায় কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। নিরাপদভাবে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের উৎপাদিত পশু যদি নিরাপদ না হয়, তাহলে তা খেলে আমাদের দেহেও ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে। মানব শরীরে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হবে। সুতরাং, শুধু উৎপাদন বাড়ালেই হবে না, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করে বরং প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে পশুকে রোগমুক্ত রাখা যায়, সে বিষয়ে গবেষণা করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্র হিসেবে তৈরি করতে হলে প্রতিটি ইউনিয়নে ভেটেরিনারিয়ানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। ভেটেরিনারি সার্ভিসকে ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে স্বীকৃতি থাকা দরকার।

তিনি বলেন, সবার সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে। সবার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন হলে কোনো চ্যালেঞ্জই মোকাবিলা করা অসম্ভব নয়। প্রাণিসম্পদ শিল্পে ভেটেরিনারিয়ানগণের অবদান জনসম্মুখে তুলে ধরতে প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস পালিত হচ্ছে। এবারের বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো, ‘ভেটেরিনারিয়ানগণ অপরিহার্য স্বাস্থ্য কর্মী’। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স বক্তব্য প্রদান করেন।