ঢাকা ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রংপুরের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায়

রংপুরের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায়

তীব্র দাবদাহ থেকে পরিত্রাণসহ রহমতের বৃষ্টি ও শীতল প্রকৃতির আকুতি নিয়ে রংপুরের বিভিন্ন স্থানে দুই রাকাত ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। গতকাল শনিবার সকাল থেকে নগরীর পূর্ব খাসবাগ সবুজপাড়া ও হারাগাছ উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সকালে উপজেলার দেউতি পুরোনো মাঠ, দামুর চাকলা বাজারের দেওয়ান সালেহ আহম্মেদ দাখিল মাদ্রাসা মাঠ, সদরের পবিত্রঝাড় ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা মাঠ এবং সাতদরগাহ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ইসতিকার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। প্রতিটি নামাজের দেড় থেকে ২ শতাধিক মুসল্লি অংশ নেন। দেউতি পুরোনো মাঠে ইমামতি করেন মেকুড়া মাদ্রাসার নাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা আফজালুল হক তুফানী, পবিত্রঝাড় মাদ্রাসা মাঠের ইমামতি করেন উপজেলা জামায়াতের আমির মোস্তাক আহম্মেদ, দেওয়ান সালেহ আহম্মেদ মাদ্রাসা মাঠে ইমামতি করেন মাহিগঞ্জ মসজিদের ইমাম আব্দুল রাজ্জাক। মুসল্লি আতাউর রহমান বলেন, সব আল্লাহর লিলা খেলা, তিনি যা চাইলে, সব হবে। একমাত্র আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। আমরা আল্লাহর নিকট চাইলাম। তিনিই তার বান্দাদের রহমতের বৃষ্টি প্রদান করবেন।

কৃষক আব্দুস সামাদ বলেন, অনেক দিন ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। মাঠ-ঘাট ফেটে গেছে। জমিতে সকালে পানি দিলে বিকালে থাকছে না। বৃষ্টি না হওয়ায় প্রকৃতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এজন্য আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করেন তিনি। এদিকে নামাজ শেষে বৃষ্টির আশায় করা হয় বিশেষ মোনাজাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একই সাথে, বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতলতা ছড়িয়ে দিতে দোয়া করা হয়। উল্লেখ্য, রংপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে এক ফোঁটাও বৃষ্টি হয়নি রংপুর অঞ্চলে। শুধু মার্চ মাসে ৯৮ দশমিক ১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। এপ্রিল মাসেও দেখা মিলছে না বৃষ্টির।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত