ঢাকা ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

উপজেলা নির্বাচনি সহিংসতা

ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা

ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু ও তার তিন সহযোগিকে গুলি চালিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান হারিছ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় হারিছুরের এক সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে ইউপিসহ তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিছুর রহমান নিজেই ইউপি চেয়ারম্যান পিকলুর বুকের ওপর উঠে গুলি করার চেষ্টা করেন। এমনকি আহতরা যাতে হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে না পারেন সেজন্য তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর স্ত্রী বিপাশা গুহ অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামীকে আগে থেকেই টার্গেট করেছেন হারিছুর রহমান। তিনি মেয়র পদ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে এসেছেন। আমার স্বামী তিন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুন নাহার মেরী, মনির হোসেন মিয়া ও মো. হাবিবুর রহমানকে একত্র করে নির্বাচনে নামেন। বিষয়টি হারিছ মেনে না নিয়ে সৈকত গুহ পিকলুকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। সেই ধারাবাহিকতায় পিকলু ও তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের কুপিয়ে জখম করেছে। হারিছুর রহমান নিজে পিকলুর বুকের ওপর পা দিয়ে জিজ্ঞেস করেছে, তোর বাপ কে? তোর বাপ হারিছ! বিপাশা গুহ অভিযোগ করে আরও বলেন, আমার স্বামীর ওপর তিন দফায় হামলা হয়েছে। হারিছ আসার আগে একবার, হারিছ ঘটনাস্থলে এসে নিজে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছে আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে। হারিছুর রহমান মনে করে তার পথের কাঁটা আমার স্বামী। সেজন্য পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যার জন্য এ হামলা চালিয়েছেন। খবর পেয়ে পিকলু গুহর ভাই সলিল গুহ পিন্টু ও মা তাপসী রানী গুহ এবং আমি উপজেলার হাসপাতালে ছুটে গেলে পিন্টুকে বেধমভাবে মারধর মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়েছে হারিছ বাহিনীর সদস্যরা। তার মা তাপসী রানী গুহর ওপর হামলা করে মোবাইল টাকা-পয়সা লুট করে নিয়েছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। গৌরনদী উপজেলার সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান ও প্রার্থী সৈয়দা মনিরুন নাহার মেরী বলেন, হারিছ নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু ও তার তিনজন সহযোগীকে গুলি করে এবং কুপিয়ে জখম করেছে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে বাধা দিয়েছে। সেখানে পিকলুর স্ত্রী, ভাই ও মা গেলে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে চেয়ারম্যানসহ আহতদের বরিশাল নিয়ে আসি। হারিছ বাহিনী গৌরনদীতে একটি ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। হারিছের টর্চার সেলে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। মূলত ত্রাসের মাধ্যমে সে উপজেলা নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত