গরমে বিপাকে ভিক্ষুকরা

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

রাজধানীর লালবাগ এলাকায় ছোট্ট একটি বাসা নিয়ে থাকেন সত্তরোর্ধ্ব আবুল কালাম। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন। শারীরিক দুর্বলতার পাশপাশি চোখের আলোও প্রায় নিভে গেছে তার। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর তার সংসারে আর কেউ নেই। শেষ বয়সে এসে কাজ করার সক্ষমতাও হারিয়েছেন। এই বয়সে নিজের পেটের আহার জোগাতে তীব্র গরমের মধ্যে লালবাগ থেকে হেঁটে রাজধানীর গুলিস্তান, বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন স্থানে ভিক্ষা করেন তিনি। কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো বাসা থেকে বের হতে পারেন না। তীব্র এ গরমের কারণে আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে বেলাল হোসেনের। তিনি সময়ের আলোকে বলেন, এই গরমে বাইরে বের হলেই অসুস্থ হয়ে পড়ি। গরমের কারণে খুব সকালে বের হয়ে সকাল ১০টা-১১টার পরপরই বাসায় ফিরে যেতে হয়, মানুষ এখন আগের মতো আর টাকাও দেয় না। পেটের ক্ষুধা না থাকলে এত কষ্ট করে বাইরে বের হতাম না। তীব্র তাপপ্রবাহে শুধু আবুল কালাম নয়, রাজধানীতে তার মতো যারা ভিক্ষা করেন সবাই বেশ কষ্টে আছেন। গত শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, গুলিস্তান, আজিমপুর এবং হাইকোর্ট মাজারসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দেখা যায় এমন চিত্র। রাজধানীর এসব পয়েন্টে প্রায় সবসময়ই ভিক্ষুকদের আনাগোনা থাকলেও দুপুর ১২টার পর আগের মতো তেমন ভিক্ষুক চোখে পড়ে না। রাজধানীর হাইকোর্ট মাজার এলাকায় ভিক্ষা করেন আয়ুব আলী। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে একগ্লাস লেবুর ঠান্ডা শরবত খেয়ে দোকানিকে বলেন, আরো একগ্লাস দেন। তিনি বলেন, এই রোদের মধ্যে বাসা থেকে বের হতে পারি না। ১ দিন বের হলে পরদিন বাসায় থাকি। গরমের দিনে যে টাকা মানুষ সাহায্য দেয়, তা দিয়ে শরবত খেয়েই প্রায় শেষ হয়ে যায়।

গরমের দিনে ভিক্ষুকদের আনাগোনা কম থাকার বিষয়ে গুলিস্তানে ফুটপাথের ব্যবসায়ী জাকির হেসেন সময়ের আলোকে বলেন, যে রোদ পড়ছে এই রোদের মধ্যে দিনের বেলায় ভিক্ষুকদের আগের মতো আনাগোনা দেখা যায় না। তবে সন্ধ্যার পর ভিক্ষুকদের আনাগোনা অনেক বেড়ে যায়।