ঢাকা ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড

জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নিরূপণে কমিটি গঠন

সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের লক্ষ্যে কমিটি গঠন করেছে বন অধিদপ্তর। গতকাল বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর স্বাক্ষরে খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো-কে সভাপতি এবং খুলনার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগ, বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. এস.এম ফিরোজ, আরণ্যক ফাউন্ডেশনের ম্যানগ্রোভ ইকোলজিস্ট ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের প্রফেসর ড. স্বপন কুমার সরকার এবং ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির প্রতিনিধি।

কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বনজসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়ন করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এদিকে, সুন্দরবনে বনাঞ্চলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর যেসব স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে ছোট পরিসরে আগুন ও ধোঁয়া দেখা যাচ্ছিল, গতকাল সারা রাত বন কর্মীরা দলভিত্তিক নিজস্ব ফায়ার ফাইটিং ইকুপমেন্টের মাধ্যমে সব স্থানের আগুনই নিভিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় বলেছে, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বন বিভাগের পক্ষ থেকে এখন ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিংয়ের মাধ্যমে গতকাল তিনবার আগুনের ধোঁয়া শনাক্ত করে তা দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে বর্গকিলোমিটার এলাকার অগ্নিকাণ্ডের কথা বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপ্তি ছিল ৭.৯ একর, যার মধ্যে ৫ একর এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, দাবি মন্ত্রণালয়ের। বনের আগুনের ক্ষেত্রে মাটির গভীরে গাছের শিকড়ের মধ্যেও আগুন থেকে যায়, যা পরে কয়েক ঘণ্টার পরে পুনরায় আগুনের বা ধোঁয়ার সূত্রপাত ঘটাতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত