খাল পাড়ে বৃক্ষরোপণে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদ-পৌঁছাবে

মেয়র তাপস

প্রকাশ : ০৯ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খালের উভয় পাড়ে (উভয় পাড় মিলে মোট ৩৯.৬ কি.মি. দৈর্ঘ্য) ব্যাপক বৃক্ষরোপণের যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদ-ে উন্নীত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল বুধবার সকালে মুগদা এলাকার শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন ‘মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি’ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা জানি, আন্তর্জাতিক মানদ-ে ঢাকা শহরের জন্য যে সবুজায়ন বা বনায়নের প্রয়োজন সেই মানদ- পর্যন্ত আমরা পূরণ করতে পারিনি। এই মান্ডা খালের পাড় দিয়ে আমাদের প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রায় ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করব। যার মাধ্যমে এই এলাকায় একটি সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শহরের জন্য সবুজায়ন ও বনায়নের যে কার্যক্রম সেটা আরো বেগবান হবে, ত্বরান্বিত হবে। কিন্তু এই খালগুলো (প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর, জিরানি, মান্ডা ও খালুনগর খাল) এবং আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা সবুজায়নের সেই আন্তর্জাতিক মানদ-ে উন্নীত হতে পারব।’ আগামী বছরের জুনের মধ্যে খালগুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার মধ্যে মান্ডা খাল সবচেয়ে বড় (৮.৭ কি.মি.)। এরপরে শ্যামপুর (৪.৭৮ কি.মি.), জিরানি (৩.৯ কি.মি.) এবং কালুনগর (২.৪ কি. মি.) খাল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের সবগুলো কাজ শুরু হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করবে আগামী বছরের জুনে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। সেভাবেই আমাদের সকল পরামর্শক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা কাজ করছে। আমরা আশাবাদী, আগামী ১ বছরের মধ্যে (খালগুলোর) দৃশ্যমান ও নান্দনিক পরিবর্তন আমরা নিয়ে আসতে পারব।’ এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ৭ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয়, মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বাহার এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. খায়রুজ্জামান, ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল আলম শামীম, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক, ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আকবর হোসেন, সংরক্ষিত আসনের নাসরিন আহমেদ ও সেলিনা খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।