ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভোক্তার কাছে সস্তা হচ্ছে তামাকজাত দ্রব্য

ভোক্তার কাছে সস্তা হচ্ছে তামাকজাত দ্রব্য

বাংলাদেশের জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য। অথচ এই একই প্রেক্ষাপটে বছর বছর সাশ্রয়ী হচ্ছে তামাকজাত দ্রব্য। ফলে তামাকের ব্যবহার কমছে না এবং অসংক্রামক রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৬ এ তামাক নিয়ন্ত্রণে উচ্চ হারে কর বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করা সত্ত্বেও কোম্পানিগুলোর নানান মিথ্যাচার ও ছলচাতুরির কারণে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধি পাচ্ছে না।

সমস্যা সমাধানে একটি শক্তিশালী করনীতি গ্রহণের পাশাপাশি উচ্চহারে মূল্য ও কর বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্য ভোক্তার ক্রয়সক্ষমতার ঊর্ধ্বে নিয়ে যাওয়া জরুরি। এর ফলে তামাকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণের পাশাপশি সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব আয় হবে। এই অতিরিক্ত রাজস্ব জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবারে ভর্তুকির ক্ষেত্রে ব্যয় করলে স্বাস্থ্য উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট ও ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট’র যৌথ আয়োজনে গতকাল বেলা ১১টায় ডাব্লিবউবিবি ট্রাস্টের কৈবর্ত সভাকক্ষে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশে তামাকবিরোধী জোটের স্থানীয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও ক্রয় সক্ষমতা পরিবর্তনের চিত্র’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্স (বিইআর) যৌথভাবে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করে।

প্রতিবেদনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির বিপরীতে তামাকজাত দ্রব্য সস্তা হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়েছে। গবেষণায় বিগত ৫ বছরে পাঁচটি অতি প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য (ডিম, আটা, চাল, গুড়া দুধ ও মুরগী)’র বাজার মূল্য পর্বেক্ষণ করে দেখা গেছে যে, উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ৬০ শতাংশ থেকে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে। অথচ এই একই সময়ে চারটি ভিন্ন মূল্যস্তরের সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে মাত্র ১৪.৩ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশ, যা তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়ক তো নয়ই বরং জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সাপেক্ষে এই দ্রব্য ভোক্তার কাছে আরো সহজলোভ্য হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন, রানি’র নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হক খান, কেরানীগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা শামীমা সুলতানা, ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম’র (আইডিএফ) চেয়ারম্যান শফিউল আযম, কসমস’র নির্বাহী পরিচালক মেহনাজ পারভীন মালা, প্রমুখ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত