‘লং কোভিড’ নিয়ে বড় পর্যায়ের গবেষণার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ‘লং কোভিড’ নিয়ে বড় ধরনের গবেষণার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞবৃন্দ। গত বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মো: নূরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ এই তাগিদ দেন। সভায় করোনার টিকা গ্রহণের পরবর্তীতে মানবদেহে কি ধরনের প্রভাব ফেলে তা নিয়েও গবেষণার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

বিশেষ করে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণের ফলে মানুষের শরীরে কি ধরনের প্রভাব ফেলেছে সেটিও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত করার উপর বিশেষজ্ঞরা মত দেন। এই গবেষণায় চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ানসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাধারণ মানুষকেও যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের অংশ হিসেবে মানুষের শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিচ্ছে। যেমন স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, খিটখিটে মেজাজ ও রুক্ষ আচরণ করা, বিভিন্ন ধরনের নিউরোলজিক্যাল ডিজঅর্ডার, হৃদরোগ, কিডনি ফেলিউর ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই গবেষণার মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করতে না পারলে মানবজাতি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে আশঙ্কা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ। করোনার টিকা গ্রহণের পর মানবদেহে কোনো জটিলতা হচ্ছে কি না, সেই বিষয়টিও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত করার উপর বিশেষজ্ঞরা বার বার তাগিদ দেন। তবে এই গবেষণা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজন যথাযথ আর্থিক ফান্ডের নিশ্চয়তা।

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলেই মানবজাতির কল্যাণে সময় উপযোগী এই গবেষণার কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে বলে সভায় অংশগ্রহণকারী দেশের বিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ উল্লেখ করেন।

সভায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ইউজিসির অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো: হাবিবুর রহমান দুলাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজেজ অ্যান্ড ইউরোলজি-এর নেফ্রোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মাসুদ ইকবাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. দীপল কৃষ্ণ অধিকারী, কিডনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. রানা মোকাররম হোসেন, অধ্যাপক ডা. ওমর ফারুক, উপ-রেজিস্ট্রার ডা. জি এম সাদিক হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।