পুঠিয়ায় এক শিক্ষকের তিন প্রতিষ্ঠানে চাকরির অভিযোগ

প্রকাশ : ১১ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর পুঠিয়ার বিড়ালদহ মাজারে মো. এনতাজ আলী নামের একজন সহকারী শিক্ষক একই সাথে দুইটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং মাজার শরিফে কোরআন শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বর্তমানে পুঠিয়া উপজেলা সদরে পুঠিয়া ইসলামীয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক ও বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক এবং বিড়ালদহ মাজারে কোরআন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। মো. এনতাজ আলী গত কয়েক বছর ধরে এমন বিধিবহির্ভুত চাকরি করে আসছেন। এতে উপজেলা প্রশাসন, শিক্ষা অফিসার ও স্কুল কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক এবং অধ্যক্ষের সহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া ইসলামীয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজে ইসলাম শিক্ষা (প্রভাষক) পদে ২০১৭ সাল থেকে চাকরি করে আসছেন। অপরদিকে ২০১১ সাল থেকে উপজেলার বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসলাম শিক্ষা পদে চাকরি বেতন-ভাতা সুবিধা ভোগ করে আসছেন। এছাড়া বিড়ালদহ মাজারে কোরআন শিক্ষক হিসেবে চাকরি বেতন-ভাতা সুবিধা ভোগ করে আসছেন। বিধি মোতাবেক পূর্বের চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে নতুন চাকরিতে যোগদান করার কথা থাকলেও তিনি সেটি মানছেন না। অপরদিকে মো. এনতাজ আলী একই সাথে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করতে পারে না। একদিকে যেমন বিধি লঙ্ঘন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সংকট তৈরি করেছেন। যার ফলে স্কুল ও কলেজে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষক মো. এনতাজ আলী জানান, কলেজের বেতন করানোর জন্য এডহক নিয়োগ দিয়েছে। আমি সেখানে যাই না। এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের সাথে কথা বলেন। আর মাদ্রাসায় আমি কোরআন শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছি। বানেশ্বর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজাদ রহমান জানান, ২০১০ সাল থেকে আমাদের স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইসলাম শিক্ষা পদে চাকরি করে আসছেন। নিয়ম মোতাবেক তিনি বেতন-ভাতা ভোগ করে আসছেন। তবে তিনি নিয়ম মোতাবেক স্কুলে আসেন। আর অন্য কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে কি না আমার জানা নাই। পুঠিয়া ইসলামীয়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শিহাব উদ্দিন জানান, আমার সঠিক মনে নাই। তবে ৬ থেকে ৭ বছর পূর্ব থেকে মো. এনতাজ আলী ইসলাম শিক্ষা (প্রভাষক) পদে এডহকে চাকরি করে। কিন্তু তার এখনো এমপিও হয়নি। একই সাথে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলে ফরমালিটি সিটে নামটি দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার লায়লা আখতার জাহান জানান, বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে প্রথমে স্কুলে চাকরি পেয়েছে তাহলে সেইটায় সঠিক। আর পরবর্তীতে কলেজে চাকরি সেটা অবৈধ্য হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিড়ালদহ মাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি একেএম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, মো. এনতাজ আলী মাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নিয়ম মোতাবেক সম্মানি ভাতা ভোগ করেন। এতে তো দোষের কিছু নেই।