রংপুর অঞ্চলের স্বাস্থ্য খাতে বিপ্লব আনবে

রমেকের ৪৬০ বেডের কিডনি ও হৃদরোগ হাসপাতাল

প্রকাশ : ১২ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্দুর রহমান মিন্টু, রংপুর

রংপুর বিভাগের আট জেলার ২ কোটি মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৪৬০ বেডের অত্যাধুনিক ক্যানসার, কিডনি ও হৃদরোগ হাসপাতাল। ২০২১ সালের মে মাসে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল চত্বরে দুই একর জমির ওপর ৪৬০ বেডের হাসপাতাটির নির্মাণকাজ শুরু করে। দুটি বেজমেন্টসহ ১৭ তলার হাসপাতাল ভবনটির ৬০ শতাংশ নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ এই হাসপাতালটি থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রংপুর গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা জানান, স্বাস্থ্য খাতে পিছিয়ে থাকা রংপুর অঞ্চলের মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার ২০২১ সালের মে মাসে রমেক হাসপাতাল চত্বরে প্রায় ২ একর জমির ওপর ৪৬০ বেডের হাসপাতাটির নির্মাণকাজ শুরু করে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালটির ১০তলা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ১৭তলা হাসপাতালটির দ্বিতীয় থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত থাকবে ১৮০ বেডের ক্যানসার বিভাগ, ৮ থেকে ১১ তলা পর্যন্ত থাকবে ১৬৫ বেডের কিডনি বিভাগ ও ১২ থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত থাকবে হৃদরোগ বিভাগ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হাসপাতালটির আয়তন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৩১২ বর্গফুট। এতে থাকবে অত্যাধুনিক ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, স্টোর রুম, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, পাঁচতলা বিশিষ্ট আনছার ব্যারাকসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা। এছাড়া উঠা-নামার জন্য ৯টি লিফট ও চারতলা পর্যন্ত এক্সলেটর সুবিধা পাবেন রোগীরা। রমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা পীরগাছা উপজেলার পারুল ইউনিয়নের বিরাহীম গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, বর্তামানে রমেক হাসপাতালে সীমিত আকারে ক্যানসারের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। আধুনিক এই হাসপাতালটি চালু হলে এই অঞ্চলের মানুষের হয়রানি কিছুটা কমবে। সেই সঙ্গে অর্থের খরচ কমে আসবে।’ রমেক হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম নুরুন্নবী লাইজু জানান, ‘রংপুর অঞ্চলের দুই কোটি মানুষের ভরসা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই বিশেষায়িত হাসপাতালটির চিকিৎসাসেবা চালু হলে অবহেলিত এ অঞ্চলের মানুষজন কিডনি চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিস সুবিধা, ক্যানসার রোগীদের কেমোথ্যারাপি, রেডিও থ্যারাপি এবং রক্ত রোগের সকল চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হবে। এটা বর্তমান সরকারের জন্য বড় ধরনের মাইলফলক এবং এ অঞ্চলের চিকিৎসা সেবার জন্য আশীর্বাদ।’