ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হবিগঞ্জে ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০

হবিগঞ্জে ১০ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই থানাধীন স্বজনগ্রাম এলাকায় বসবাসকারী সাজু মিয়ার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে একটি লাঠিয়াল বাহিনী গঠন করে। উক্ত লাঠিয়াল বাহিনী সংঘবদ্ধভাবে লাখাই থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় দাঙ্গাবাজি, মারামারি, ভূমি দখল ও প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছিল। তাদের এহেন কার্যকলাপে কেউ বাধা প্রদান করলে তারা উক্ত বাধা প্রদানকারীকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদানসহ বিভিন্ন প্রকার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করত।

গত ৩১-৩-২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০ ঘটিকায় উল্লিখিত লাঠিয়াল বাহিনীর অন্যতম নেতা সাজু মিয়াসহ আরো ৩-৪ জন স্বজনগ্রাম এলাকার একটি রাস্তার পাশ থেকে মাটি কেটে তাদের নিজের জমিতে ভরাট করছিল। একই এলাকায় বসবাসকারী ভিকটিম রুকন উদ্দিন ও তার ভাই আশরাফ উদ্দিন বিষয়টি দেখে সাজুকে বলে যে, এভাবে রাস্তা থেকে মাটি কাটলে রাস্তার ক্ষতি হবে। রুকন উদ্দিনের উক্ত কথায় সাজু মিয়া ও মফিজ মিয়াসহ ৩-৪ জন ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের হাতে থাকা কোদাল নিয়ে রুকন উদ্দিন ও আশরাফ উদ্দিনের উপর আক্রমণ করার জন্য উদ্ধ্যত হলে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে সাজুদের নিবৃত করে। অতঃপর উক্ত গ্রামের মুরুব্বিরা এসে তাদের বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়।

পরবর্তীতে সাজু ও মফিজ তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে ভিকটিম রুকনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। যার ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সাজু, মফিজ ও তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর ৩০-৪০ জন সদস্য দেশীয় অস্ত্র (রামদা, ফিকল, কুচারশলা, লোহার রড ও লাঠি) নিয়ে রুকন উদ্দিনের বাসায় সামনে দাঁড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে। গালাগাল করার একপর্যায়ে ভিকটিম রুকন উদ্দিন বাসা থেকে বেরিয়ে আসলে সাজু ও মফিজসহ অপরাপর আসামিরা তাদের কাছে থাকা রামদা, ফিকল, কুচারশলা, লোহার রড ও লাঠি দিয়ে রুকন উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে তার চোখ, মাথা, কোমর ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে উল্লাস করতে করতে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

উক্ত ঘটনার পর রুকনের পরিবারের লোকজন স্থানীয় লোকজনদের সহযোগিতায় রুকনকে গুরুতর রক্তাক্ত আহত অবস্থায় লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুকনের অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানকার চিকিৎসক রুকনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতেল রেফার্ড করেন। উক্ত হাসপাতালের চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রুকনের অবস্থা অশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে রুকনকে ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫/৪/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক মাঝরাত ১টা ১০ মিনিটে রুকন মৃত্যুবরণ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত