জাতীয় পদক পাওয়া ১২ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা

দেশের ১২ গুণী ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দিয়েছে সাতক্ষীরা জেলা সমিতি, ঢাকা। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) মাল্টিপারপাস হলে ঈদ পুনর্মিলনী, গুণিজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাদের এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

যাদের সম্মাননা দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা শিশু বিশেষজ্ঞ ও সমাজসেবক জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান, খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খাদ্যনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ধান বিজ্ঞানী ড. মো. আব্দুল মজিদ। একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার শেখ লুৎফর রহমান; প্রথিতযশা চিত্রকর সৈয়দ জাহাঙ্গীর; কবি, গীতিকার, নাট্যকার ও সাংবাদিক সিকান্দার আবু জাফর, বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী নিলুফার ইয়াসমিন, প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক তোয়াব খান, কবি ও সাংবাদিক কাজী রোজী; অভিনেতা, পরিচালক, চিত্রশিল্পী ও বিজ্ঞাপন নির্মাতা আফজাল হোসেন, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জল ঘোষাল এবং অভিনেতা ও আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।

এছাড়া, সমাজসেবায় উল্লেখ্য অবদানের জন্য ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। আহ্ছানিয়া মিশনের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন মিশনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এ এফ এম গোলাম শরফুদ্দিন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান এবং প্রখ্যাত সাংবাদিক ও লেখক তোয়াব খানের পক্ষে মরণোত্তর সম্মাননা গ্রহণ করেন শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, শেখ লুৎফর রহমানের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়ে লতা রহমান, সিকান্দার আবু জাফর ও সৈয়দ জাহাঙ্গীরের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন সাবেক সচিব ও সতক্ষীরা জেলা সমিতির উপদেষ্টা শেখ শাফি আহমেদ, কাজী রোজির পক্ষে মরণোত্তর সম্মাননা গ্রহণ করেন কাজী মাহবুবা এবং আফজাল হোসেনের পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন মাত্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার আলমগীর।

অনুষ্ঠানে অনুভূতি প্রকাশ করেন স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত খাদ্যনিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ধান বিজ্ঞানী ড. মো. আব্দুল মজিদ, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মনোরঞ্জল ঘোষাল এবং অভিনেতা ও আবৃত্তিকার জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।

সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার সভাপতি রফিকুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা সমিতি ঢাকার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান, উপদেষ্টা মো. ফখরউদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহসহ সাতক্ষীরার গুণী ব্যক্তিবর্গ।