ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্নাতকোত্তরে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ চালুর পরামর্শ ইউজিসি’র

স্নাতকোত্তরে বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপ চালুর পরামর্শ ইউজিসি’র

শিল্প, বাণিজ্য, গবেষণাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষতা অর্জন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য কমপক্ষে এক সেমিস্টার বাধ্যতামূলক ইন্টার্নশিপের সুযোগ রেখে কারিকুলাম হালনাগাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। এছাড়া, বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে যতসংখ্যক শিক্ষার্থীর ইন্টার্নশিপের সংযুক্তির সুযোগ রয়েছে, সেটি বিবেচনায় এনে উচ্চশিক্ষাস্তরে শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়টি বিবেচনা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। সক্ষমতার চেয়ে বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করলে মানসম্মত গ্রাজুয়েট তৈরি না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইউজিসি’র ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শুদ্ধাচার-সংক্রান্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন। গতকাল সোমবার ইউজিসিতে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রিসোর্সপার্সন হিসেবে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এমডিএস (আরঅ্যান্ডসি) ও অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুল ইসলাম।

কমিশনের উপসচিব ও জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্ট মো. আসাদুজ্জামানের উপস্থাপনায় প্রশিক্ষণে ইউজিসি’র ৫৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে গতানুগতিক কাজের ৫০ শতাংশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে সম্পন্ন হবে। উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন কাজেই কেবল জনসম্পৃক্ততার প্রয়োজন হবে। তাই, সময়ের চাহিদা পূরণে বর্তমান উচ্চশিক্ষার পাঠ্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি। প্রফেসর আলমগীর আরো বলেন, শুধু পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করলেই চলবে না। গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে কি না, তা মানের সূচকে যাচাই করতে হবে। অন্যথায়, গ্রাজুয়েটরা দক্ষতার ঘাটতি নিয়ে শিক্ষাজীবন শেষ করবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের বাজার চাহিদার উপযোগী দক্ষ করে গড়ে তুলতে ব্যর্থ হওয়ায় উচ্চশিক্ষা নিয়েও অনেক শিক্ষার্থী কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না। অথচ, দেশের অনেক শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে সিনিয়র ও মিড লেভেলে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে বিদেশি জনবল নিযুক্ত রয়েছে এবং তারা প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে, যা একটি স্বাধীন দেশে কোনোভাবেই কাম্য নয়। মেধা ও দক্ষতার পরনির্ভশীলতা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে বলে তিনি জানান। সভাপতির বক্তব্যে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে তদারকি ও এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইউজিসির কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত