ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘নারীর সামাজিক উত্তরণ চেয়েছিলেন নূরজাহান মুরশিদ’

‘নারীর সামাজিক উত্তরণ চেয়েছিলেন নূরজাহান মুরশিদ’

রাজনীতিবিদ ও আন্দোলনকর্মী নূরজাহান মুরশিদ নারীর সামাজিক উত্তরণ ঘটাতে চেয়েছিলেন। আমৃত্যু তিনি জনসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর পূর্ব-পাকিস্তানে রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনে যে নারীরা সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছেন, তাদের মধ্যে তিনি অগ্রগণ্য ছিলেন। গত বুধবার রাজধানীর বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে নূরজাহান মুরশিদ স্মারক বক্তৃতা ‘মুর্শিদাবাদ অনুষঙ্গ ও বিশ শতকের নারী জাগরণ’-বিষয়ক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুর্শিদাবাদ ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সহসভাপতি হাসিবুর রহমান। তিনি নূরজাহান মুরশিদের জন্ম, পরিবার পরিচিতি ও শিক্ষাজীবনের ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই বিদুষী নারী অবিভক্ত বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলার তারানগর গ্রামে ১৯২৪ সালের ২২ মে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আয়ুব হোসেন বেগ ছিলেন লালগোলা থানার পুলিশ প্রধান। নূরজাহানের প্রাথমিক শিক্ষাসম্পন্ন হয়েছিল নিজের গ্রামের তারানগর এমই স্কুলে। লেখাপড়ায় শৈশব থেকে অত্যন্ত মেধাবী হওয়ায় লালগোলা ছেড়ে বরিশালে ব্রজমোহন কলেজে আপার স্কুলিং সেকশনে- অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা শেষ করে কলকাতার ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশন থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।

তিনি ১৯৪৩ সালে ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ, ১৯৪৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগের স্বর্ণপদক পেয়ে পাস করেন। কলকাতা ভিক্টোরিয়া কলেজে লেখাপড়াকালীন অনেক প্রগতিশীল ব্রাহ্ম ও হিন্দু মহিলাদের জীবনধারা নূরজাহানকে গভীর প্রভাবিত করে। নূরজাহান কিছু সময়ের জন্য লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে ভর্তি হয়েও ফিরে আসেন এবং ভিক্টোরিয়া কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে সাম্মানিক স্নাতক হন। পরবর্তী জীবনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে ১৯৪৫ সালে প্রথমশ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস কমিউনিকেশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ছাড়াও ‘ল’ ও এডুকেশন নিয়ে লেখাপড়া সম্পন্ন করেন বিদুষী নূরজাহান মুরশিদ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত