চট্টগ্রামে ডিম ও সবজির বাজারে নেই স্বস্তি

৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  তামীম রহমান, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে ডিম ও সবজির বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ডিম অনেক মধ্যবিত্তের আমিষের একমাত্র সম্বল। সেই ডিমই বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়ায় অনেকে ডিম কেনা কমিয়ে দিয়ছেন। এদিকে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরমে মুরগি মারা যাওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাছাড়া মুরগি পালনের আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র দাম বেড়ে যাওয়ায় তা ডিমের দামের উপর প্রভাব ফেলেছে। সরবরাহে ঘাটতি না থাকার পরেও ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। ক্রেতাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা নিজেদের মতো করে দাম নিচ্ছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের বাজার ব্যবস্থাপনা তদারকি করার কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। তাই বিক্রেতারা তাদের ইচ্ছামতো দাম রাখছেন। চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর জানান, আমাদের বাড়তি দরে ডিম কিনে আনতে হচ্ছে। ব্যবসা যেহেতু করছি, আমাদেরও তো ন্যূনতম লাভ করতে হয়। তাই এখনো ডিমের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। শুক্রবার (২৪ মে) নগরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাজীর দেউড়ি কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো এখনো বাড়তি ডিমের দাম। ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৫০ টাকা। আর সাদা ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা ডজন। এছাড়া দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন ১৭০ টাকা। প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। পটল পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। লাউ আকারভেদে প্রতি পিচ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, আলু ৫৫-৬০ টাকা, লেবু এক হালি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। খাতুনগঞ্জে মানভেদে দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ভারতের পেঁয়াজ ছোট ৬২ থেকে বড় ৭০ টাকা। বহদ্দারহাটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ফারুক জানান, পাবনার পেঁয়াজ আছে আমাদের আড়তে। কেজি ৬৬ টাকা। দেশি পেঁয়াজের দাম কম ও মান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি। দেশি পেঁয়াজের বস্তায় পচা, গলা কম। ৬৪-৬৫ টাকা কেজি। স্পেশাল বড় পেঁয়াজ ৬৮ টাকা। চীনা রসুন ১৮৪, দেশি রসুন ১৭৫ টাকা। আল আরব বাণিজ্যালয়ে চীনা আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২০৫ টাকা। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকা কেজি, খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি ২৩০-৪০ টাকায়, আর লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-৩৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া পাকিস্তানি কক মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকা করে। বাজারে রুই মাছ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি আর বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা। এছাড়া পাবদা ৪০০, বড় বোয়াল ৬০০, ছোট বোয়াল ৫০০, টেংরা ৮০০, রুপচাঁদা ১২০০, কালিবাউশ ৬০০, মৃগেল ২৮০-৩২০, কার্ফু ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চকবাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, মুরগির দাম একটু বাড়তি। গরমের ফার্মে মুরগি মারা যাচ্ছে। তাই সরবরাহ কম। আরো কিছুদিন বাড়তি দামেই মুরগি বিক্রি করতে হবে।