ঢাকা ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোম্পানিগুলোর লক্ষ্য তরুণদের তামাকপণ্যে আসক্ত করা

কোম্পানিগুলোর লক্ষ্য তরুণদের তামাকপণ্যে আসক্ত করা

তামাক কোম্পানিগুলোর মূল লক্ষ্য তামাকপণ্যে তরুণদের আসক্ত করা। কোম্পানিগুলো বিদ্যমান তামাক আইনের বিভিন্ন দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে এই কাজ করছে উল্লেখ করে তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বৈশ্বিক মানদ-ে রূপান্তরের দাবি জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও তরুণরা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৪ উদযাপন : তামাকমুক্ত বাংলাদেশ-এর জন্য কৌশল’ শীর্ষক কর্মশালায় তারা এসব কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর কারিগরি সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ এই কর্মশালার আয়োজন করে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ মৃত্যুই হচ্ছে অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে। একই সঙ্গে হৃদরোগ, ক্যান্সার, ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ ও ডায়াবেটিস ইত্যাদি অসংক্রামক রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এসব রোগ হওয়ার অন্যতম কারণ তামাক পণ্য ব্যবহার করা। এই চিকিৎসক বলেন, তরুণদের লক্ষ্য করে সিগারেট ছাড়ার মাধ্যম হিসেবে ই-সিগারেট বা ভ্যাপ নিয়ে অনলাইনে নানা ধরনের প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। একইসঙ্গে সিগারেটের চেয়ে কম ক্ষতিকর তুলে ধরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের ব্যবসার স্বার্থে। ই-সিগারেট কোনোভাবেই সিগারেটের চেয়ে কম ক্ষতিকর নয়। তাই বাংলাদেশে ই-সিগারেটের ভয়াবহতা বন্ধে ভ্যাপ, হিটেড টোব্যাকোসহ সব ধরনের ই-সিগারেট এখনই নিষিদ্ধ করতে বিদ্যমান তামাক আইন সংশোধন করা প্রয়োজন। কর্মশালায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সবুর খান বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো শুধু নিজেদের ব্যবসার স্বার্থে বিভিন্ন কূটকৌশল ব্যবহার করে নিত্যনতুন তামাকপণ্য বাজারে আনছে। ফলে তরুণরা না বুঝে নেশায় আসক্ত হচ্ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের তামাক পণ্য সেবন থেকে বিরত রাখতে হবে। আর সেই কাজটি শুরু থেকেই মানারাত ইউনিভার্সিটি কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও তামাক পণ্য সেবন থেকে বিরত রাখতে কাজ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত