ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব

রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেড়েছে সবজির দাম

প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কাঁচাবাজারে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ঝড়ের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে সবজি কিনতে আসা বেশির ভাগ ক্রেতারা জানিয়েছেন, গত সোমবার ঘূর্ণিঝড়ের সময়ও বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম ছিল। গতকাল মঙ্গলবার সব ধরনের সবজি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তবে মুরগি, ডিম, চালসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঝড়ের কারণে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পাইকারিতে দাম বাড়লে এর প্রভাব পড়েছে খুচরায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবজির দাম কমে যাবে বলেও জানান তারা। রাজধানীর মেরাদিয়া, গোড়ান, খিলগাঁও রেলগেটসহ পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে জানা গেছে। মেরাদিয়া হাটের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল মিয়া বলেন, এ সপ্তাহের শুরুতে সবজির দাম যা ছিল, সে তুলনায় ঘূর্ণিঝড়ের পরের দিন বাজারে বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে মানভেদে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, পটল ৪০-৬০ টাকা, ধুন্দুল ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ৭০-৮০ টাকা, লম্বা কালো বেগুন ৭০-৮০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০-৬০ টাকা, মরিচ ১৯০-২০০ টাকা। আগের দামে বিক্রি হওয়া সবজিগুলো হচ্ছে মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০-৭০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০-৭০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০-৬০ টাকা, চাল কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৫৫-৬০ টাকা, প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা ও লেবু ২০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় মসজিদ মার্কেটে বাজার করতে আসা গৃহিণী হামিদা বেগম বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ সবজির দাম অনেকটা বাড়তি রাখছে। মাছ-মাংসের দাম বেশি বিধায় প্রায় প্রতিদিনই বাসার জন্য সবজি কিনতে হয়। তাও সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। সব সবজির দাম হওয়া উচিত ৫০ টাকার নিচে। তাহলে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কষ্ট কিছুটা কম হতো। এদিকে আমিষের বাজারে ঘুরে জানা গেছে, মুরগি, গরু, খাসির বাজারে দামের তেমন কোনো পরিবর্তন নেই। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকায়, সোনালী ৩৩০-৩৪০ টাকা, সাদা কক ৩৩০-৩৪০ টাকা, লেয়ার ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস ১১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকা ও সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৮-১৪০ টাকায়। এদিকে সবকিছুর দাম বাড়লেও মুদি দোকানের পণ্যের দাম রয়েছে অপরিবর্তিত। গতকাল খোলা পোলাওর চাল মান ভেদে ১১০-১৪০ টাকা, ছোট মুসরের ডাল ১৪০ টাকা, মোটা মুসরের ডাল ১১০ টাকা, বড় মুগ ডাল ১৬০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৮০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল ১৪৫ টাকা, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, দুই কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০ টাকা, আটা ২ কেজির প্যাকেট ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।