ঢাকা ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার

বিদেশি ফলের চাহিদা কমেছে
মৌসুমি ফলে ভরপুর বাজার

বছরজুড়ে পালাবদলের চক্রে ঘুরতে থাকে প্রকৃতি। সে সূত্রেই চলছে মধুমাস জ্যৈষ্ঠ। মধুমাসের এই সময়ে সারা দেশেই গ্রীষ্মকালীন নানা ধরনের ফল চোখে পড়ে। প্রতি বছরের মতো এবারও মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে রাজধানীর বিভিন্ন ফলবাজার। তবে মৌসুমি হলেও মধুমাসের ফলগুলোর দামও কিন্তু বেশ চড়া। তাই দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছে অসন্তোষ। দেশের বাজারে এখন আম, লিচু, কাঁঠালসহ নানা ফলের সমারোহ। এর ফলে বাজারে আধিপত্য কমেছে বিদেশি ফলের।

চাহিদা কমার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি ফলের দামও কমেছে বাজারে। জানা যায়, ফলের বাজারে এখন সবুজ আপেল প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। ২৫০ থেকে ২৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে লাল আপেল। দু-তিন সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা কমেছে এসব আপেলের দাম। এর থেকেও বেশি কমেছে মাল্টার দাম। প্রতি কেজি মাল্টা পাওয়া যাচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। গত রোজায় এই মাল্টার দাম উঠেছিল ৩৮০ টাকা পর্যন্ত। ঈদুল ফিতরের কিছুদিন পর থেকে দাম কমতে কমতে এ অবস্থায় এসেছে। গতকাল রাজধানীর যাত্রবাড়ী ও জুরাইন এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। পাইকারি ও খুচরা ফল বিক্রেতারা বলেন, দেশি ফলের একদম ভরা মৌসুম থাকায় বিদেশি ফলের চাহিদা কমেছে। সাথে সাথে দামও কমছে। এদিকে নাশপাতি, কমলার দামও নিম্নমুখী। তবে আঙুর ও আনারের দাম রয়েছে আগের মতোই। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কমলা ৩৫০ টাকায়, আঙুর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, নাশপাতি ২৫০ থেকে ২৬০ এবং আনার ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যাত্রাবাড়ী বাজারের খুচরা ফল বিক্রেতা শামীমুল হক বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে দেশি আম ও লিচুতে ভরপুর। এখন বিদেশি ফলের দিকে ক্রেতার নজর নেই। যে কারণে দাম কম।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন বিদেশি ফলের দাম চড়া ছিল।

এখন দাম কমার কারণে ক্রেতাদের মধ্যেও স্বস্তি এসেছে। যদিও তারা এখন আম লিচুসহ অন্যান্য ফল নিয়ে ব্যস্ত।’ বাজারের তথ্য বলছে, গত রমজানে বিদেশি ফলের দাম অস্বাভাবিক ছিল। ওই সময় আপেল, কমলা ও মাল্টার মতো বিদেশি আমদানি করা ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। দাম বাড়ার জন্য বাড়তি দরে শুল্কায়ন ও ডলার সংকটকে দায়ী করেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে এখনো সেই ডলার-শুল্কায়ন সমস্যা কাটেনি। তবে চাহিদা কমার কারণে দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর ফল আমদানি-রপ্তানিকারক ও আড়তদার ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল করিম। তিনি বলেন, ‘রমজানের চেয়েও এখন ডলারের দাম বেশি। শুল্ক-করও এর মধ্যে কমানো হয়নি। আমদানিকারকরা এখনো কিছু জটিলতার মধ্যে রয়েছেন। কিন্তু এখন ফলের চাহিদা একদম কম। যে কারণে সমস্যা থাকলেও কিছুটা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত