মেধাবী জাতি গঠনে দুধ ডিম ও মাছ গুরুত্বপূর্ণ

সিটি করপোরেশন মেয়র

প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  খুলনা প্রতিনিধি

বৈশ্বিক পুষ্টিতে দুধ অপরিহার্য এই প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল শনিবার খুলনায় বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল দুপুরে খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, মেধাবী জাতি গঠনে দুধ, ডিম ও মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দুধের প্রয়োজন এবং দুধ শিশুদের মেধা বিকাশে সহায়তা করে। সব মানুষের প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খাওয়া প্রয়োজন। দুধ বয়ষ্কদের হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে ও দৈহিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। দুধ একটি আদর্শ খাবার। একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষ দৈহিক পুষ্টি চাহিদার প্রায় সবটুকু এই দুধে পাওয়া যায়। যে কোনো বয়সে দুধ খাওয়া যায়। নিয়মিত গরম দুধ খেলে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগ লাঘব হয়। তিনি বলেন, মাছ ও মাংসে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ভবিষ্যতে আমরা দুধেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হবো। নিয়মিত দুধ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য মেয়র সবার প্রতি আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের পরিচালক মো. ইউসুপ আলী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমান।

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কেসিসি’র ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ড. পেরু গোপাল বিশ্বাস। স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মো. শরিফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে খামারিদের পক্ষে বক্তৃতা করেন আরশাদ তাজিন ডেইরি ফার্মের তোজাম্মেল হোসেন তুষার ও পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সোহরাব হোসেন। খুলনা জেলা প্রাণিসম্পদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মেয়র দিবসটি উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষ্যে মেয়রের নেতৃত্বে খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।