সড়কে আইন মানার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সড়কে আইন মানার ক্ষেত্রে সবার আগে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসতে হবে। তারা নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহপাঠীদের বলবে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত ডিএমপি ও জাইকার উদ্যোগে পরিচালিত ডিআরএসপি প্রজেক্টের ‘রোড সেফটি পোস্টার অ্যান্ড স্লোগান কনটেস্ট-২০২৪’ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিবার থেকে শুরু করতে হবে। তারা মা-বাবাকে বলবে ট্রাফিক আইন মেনে সড়কে চলাচল করতে। যে গাড়িচালক আছে তাকেও বলবে দ্রুত কোথাও যাওয়ার জন্য ট্রাফিক আইন যেন অমান্য না করে। দ্রুত কোথাও যেতে গাড়িচালক আমার ও পথচারী অথবা অন্য গাড়িতে থাকা যাত্রীদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারেন। পোস্টার-স্লোগানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাবিবুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র পোস্টার-স্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না শিক্ষার্থীরা। তারা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাইকে ট্রাফিক আইন মানার বিষয়ে সচেতন করে তুলবে। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে পশুদের জন্য কোনো আইন নেই। কিন্তু মানুষের জন্য আইন আছে। সেসব আইন মান্য করার জন্যই মানুষের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা প্রতিদিন প্রতিনিয়ত রাস্তাঘাটে আইন অমান্যের প্রতিযোগিতা করি। কে কত বেশি আইন অমান্য করতে পারে সেটা তার ক্রেডিট বলে অনেকেই মনে করেন। শিক্ষিত-অশিক্ষিত প্রায় সবাইকে আইন অমান্য করতে দেখি। ট্রাফিক আইন সবার আইন মানা উচিত। ট্রাফিক সমস্যার কারণে একজন মুমূর্ষু রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছি না। পাশাপাশি রোগীর গাড়ি দ্রুততম সময়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে রোগী মারা যাচ্ছে, এমন ঘটনাও ঘটছে। সেই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সবাইকে জেগে উঠতে হবে। একেকজন শিক্ষার্থী ট্রাফিকের অ্যাম্বাসেডর হয়ে কাজ করবে, যাতে করে তার আশপাশে সবাইকে তিনি ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সচেতন করতে পারেন বলেও উল্লেখ করেন ডিএমপি কমিশনার। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে হাবিবুর রহমান বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে সচেতন হতে হবে, কথা বলতে হবে। কিশোররাই হবে কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে আরেকটি বড় শক্তি। তাহলে সমাজে কিশোর গ্যাং কমে যাবে। কিশোর কখনো ‘গ্যাং’ নয়। কয়েকজন কিশোর একসঙ্গে মিলে সংঘবদ্ধভাবে খারাপ কাজ করলে তখন তাকে ‘গ্যাং’ বলা হয়। আজকের কিশোররাই আগামী দিনের বাংলাদেশ। এ কিশোররা খারাপ কাজ করতে পারে না। কিশোররা আইন অমান্য করতে পারে না। আজকের শিক্ষার্থীরা সচেতন হলে সমাজে মাদক থাকবে না। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাইকা বাংলাদেশ অফিসের চিফ রিপ্রেজেন্টেটিভ অফিসার তমোহিদ ইছিগুছি, ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্টের (ডিআরএসপি) প্রজেক্ট লিডার ইয়োশিহিসা আসাদা। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।