আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং

বাজেটে প্রস্তাবিত তামাক কর জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার সহায়ক নয়

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলোকিত ডেস্ক

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক কৌশলের মধ্যে বিশ্ব স্বীকৃত অন্যতম পদ্ধতি হলো তরুণদের ক্রয়ক্ষমতার নাগালের বাইরে তামাকপণ্যের দাম নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্যে দেশের তরুণ সমাজকের তামাকের নেশার হাত থেকে রক্ষার জন্য প্রস্তাবিত বাজেট সংশোধন করে তামাক কর যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়েছে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং। বাংলাদেশে বর্তমান মোট জনগোষ্ঠীর ৪৮ শতাংশই তরুণ-তরুণী। তামাক কোম্পানির মূল টার্গেট এই তরুণ জনগোষ্ঠী। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের উচিত তামাক কোম্পানির ছোবল থেকে তরুণদের সুরক্ষা প্রদান করা। আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা জানান, তামাকাসক্তি অসুস্থ প্রজন্ম দেশের অগ্রগতির হাতিয়ার না হয়ে বরং সমাজ ও অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। তাই জনস্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়ে তামাকজাত দ্রব্যের কর বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেননি। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত যুবকদের অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারে বিড়িসহ সকল তামাক কর বৃদ্ধি। এই তামাক কর বৃদ্ধি জনস্বাস্থ্যের উপর ইতিবাচক প্রভাব ছাড়া, এই রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করবে, যা বর্তমান কর রাজস্বের চেয়ে অনেক বেশি। প্রোগ্রাম অফিসার সিমা বলেন, অল্প বয়সে ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এবং তরুণরা ধূমপান চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি অন্যান্য নেশার দিকে ঝুঁকে যাওয়াও সম্ভাবনাও প্রবল থাকে। তিনি জানান, ‘সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৫০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করেছে। যা গত অর্থবছরে ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৪৫ টাকা এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৮ শতাংশ ছিল। মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর গত বছরের চেয়ে ৩ টাকা বাড়িয়ে ৭০ টাকা ও তদূর্ধ্ব, উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ১১৩ টাকা থেকে ১২০ টাকা ও তদূর্ধ্ব, অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ১৫০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা ও তদূর্ধ্ব নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই তিন স্তরের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এবার (২০২৪-২৫) ৬৫.৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

খাদ্যসহ অনেক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য ২০২১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে ৪০ শতাংশ থেকে প্রায় ৯০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪.৪৮ শতাংশ থেকে ১১.১১ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য আরো সস্তা হয়ে পড়বে। আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে তামাকজতদ্রব্যের কর বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে।