ঢাকা ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কোরবানি ঘিরে জমজমাট ‘গো-খাদ্যের’ মৌসুমি ব্যবসা

কোরবানি ঘিরে জমজমাট ‘গো-খাদ্যের’ মৌসুমি ব্যবসা

কোরবানির ঈদের আর মাত্র দুটি দিন বাকি। আগামী সোমবার দেশে উদযাপিত হবে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এরইমধ্যে রাজধানীর হাটগুলোতে কোরবানির পশু কেনাবেচা জমেছে। কোরবানির পশু বিক্রিকে কেন্দ্র করে পশুর হাটের পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতে ভাসমান গো-খাদ্যের দোকান বসেছে। খড়, ভুসি, তাজা ঘাসসহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এতে করে যারা গরু কিনছেন তাদেরও এসব গো-খাদ্য কিনতে দেখা গেছে। হাতের কাছে পাওয়াতে ক্রেতারাও বেজায় খুশি। গতকাল শনিবার রাজধানীর পশুর হাটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গো-খাদ্যের ভাসমান অনেক দোকান চোখে পড়েছে। অনেক স্থানে এলাকার তরুণরা এসব দোকান দিয়েছেন। রাজধানীর শাহজাহানপুর কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটের পাশেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে গো খাদ্যের বেশ কয়েকটি ভাসমান দোকান। খড়, ঘাষ ও ভুসিসহ বিভিন্ন ধরণের গো খাদ্য আছে এসব দোকানে। বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। শুধু হাটের পাশেই না, অনেক অলিগলিতেও বসানো হয়েছে গো-খাদ্যের দোকান। রাজধানীর সেগুনবাগিচা ভিআইপি এলাকা নামে পরিচিত। এখানে কয়েকদিন ধরেই গো খাদ্য নিয়ে বসেছেন অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী। খড়ের ভুসি, খড়, তাজা ঘাস নিয়ে পসরা সাজিয়েছেন তারা। গো-খাদ্যের পাশাপাশি কোরবানির পশু জবাইয়ের বিভিন্ন উপকরণও পাওয়া যাচ্ছে। মাংস কাটার খাটিয়া, পাটি, রশিসহ নানা উপকরণ নিয়ে বসেছেন অনেকে।

প্রতি ঈদে এসব উপকরণ বিক্রি করতে বরিশাল থেকে ঢাকায় আসেন দুই যুবক। তারা বলেন, ৪-৫ দিন আগে এসেছি এগুলো নিয়ে। বিক্রি করে আবার ঈদের পর বাড়ি চলে যাব। বেচাকেনা বাদে মোটামুটি ৬ থেকে ৭ হাজার লাভ থাকে। আমরা অনেকদিন আগে থেকেই এগুলো বিক্রি করি। সেগুনবাগিচায় গরুর জন্য ঘাস কিনতে আসা মামুন নামে একটি বাসার তত্ত্বাবধায়ক বলেন, গতকাল কোরবানির গরু কেনা হয়েছে। গরুর ঘাষ কেনার জন্য এসেছি। হাতের কাছে ঘাষ পেয়ে ভালোই হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত