ঢাকা ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ছুটি শেষে ঢাকামুখী মানুষ

সদরঘাটে ভিড়ছে যাত্রীবোঝাই লঞ্চ

সদরঘাটে ভিড়ছে যাত্রীবোঝাই লঞ্চ

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে সরকারি ছুটির দিনেও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়া মানুষজন। ঢাকামুখী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করলেও বাড়তি চাপ নেই রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। স্বাভাবিক সময়ের মতোই রয়েছে ঢাকামুখী যাত্রীদের সংখ্যা। তবে রাজধানীর প্রধান এ নদীবন্দরে একদিকে যেমন দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ যেমন আসছেন, অন্যদিকে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকেই।

গতকাল দুপুরের পর থেকেই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের সবগুলো লঞ্চ ডেকে পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভেড়ে। ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়েও কিছু লঞ্চ ঢাকার এসে পৌঁছায়। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সকাল থেকেই একে একে ভিড়তে থাকতে দেখা গেছে বিভিন্ন রুটের লঞ্চ। দুপুরের পর থেকে গ্রিন লাইন-৩, পারাবত- ৯, ১০, ১২ ও ১৮, মানামী, কুয়াকাটা-২, কীর্তনখোলা- ২ ও ১০, সুরভী- ৮ ও ৯, অ্যাডভেঞ্চার-১ ও ৯, সুন্দরবন-১২ লঞ্চসহ মোট ১৫টি লঞ্চ বরিশাল নদীবন্দর থেকে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে এসে পৌঁছায়। মানামি লঞ্চের চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এবার ঈদের আগে যেমন যাত্রীচাপ ছিল, পরে তেমন হচ্ছে না। এদিন সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় অনেকেই ঢাকা ফিরছেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মো. আল আমিন পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী থেকে ফিরেছেন ঢাকায়। তিনি বলেন, এমভি এ আর খান লঞ্চের টিকিট পেয়েছি। তবে লঞ্চে অনেক মানুষের ভিড় ছিল। ঠিকভাবে ঢাকায় আসতে পেরেছি এটাই অনেক।

এদিকে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাটে যেমন ঢাকামুখী মানুষের ভিড় তেমনি ফিরতি যাত্রীর ভিড়ও কম নয়। বরিশাল, ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা লঞ্চগুলোর কর্মীরা যাত্রীদের ডাকাডাকি করছেন। মানুষ একে একে লঞ্চে উঠছেন। বেশ কয়েকটা লঞ্চের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ডেক ভর্তি বসে আছেন মানুষ। কেউ আবার কেবিন নিয়ে দরদাম করছেন। বিকাল সাড়ে ৫টায় হাতিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে এমভি ফারহান-৩ নামের লঞ্চ। লঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের ডাকাডাকি করছিলেন ওই লঞ্চের কর্মী আবুল হোসেন। তিনি জানান, বেশ কয়েকদিন থেকে বেশি লোক বাড়ি যাচ্ছেন। যারা ঢাকায় ঈদ করেছেন তাদের অনেকেই এখন গ্রামে যাচ্ছেন। ঢাকা থেকে মনপুরা, হাতিয়ার দিকে যাবে এমভি তাসরিফ। লঞ্চের কর্মী মাসুম বলেন, লঞ্চে এরই মধ্যে ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষ উঠেছে। আর কিছুক্ষণ পর লঞ্চ ছাড়বে। এর মধ্যে আরো মানুষ উঠবে।

ভোলার চরফ্যাশন ও বেতুয়া যাবে এমভি টিপু-১৩। লঞ্চটিতে গিয়ে দেখা যায়, ডেক ভর্তি মানুষ। ভোলাগামী যাত্রী সাদিক বলেন, কাপড়ের দোকানে কাজ করি। ঈদের আগের দিনও খোলা ছিল। তাই ভাবলাম ঈদ ঢাকায় করে যাই। তাড়াহুড়ো করে গিয়ে রাস্তায় ঈদ করার চেয়ে পরে যাওয়া ভালো। লঞ্চটির ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, ডেকে বসে আছেন শত শত মানুষ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত