ঢাকা ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ববির সার্বজনীন পেনশন

প্রত্যাহারের আন্দোলন রূপ নিল মারামারিতে!

প্রত্যাহারের আন্দোলন রূপ নিল মারামারিতে!

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বজনীন পেনশন প্রত্যাহার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বতন্ত্র সুপার বেতন স্কেলের দাবির আন্দোলন মারামারিতে রূপ নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিবাদমান দুটি গ্রুপের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের পেনশন আন্দোলন চলার সময় গ্রাউন্ড ফ্লোরে বসা এবং ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে এই সংঘাতের সূত্রপাত হয়। বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল ১০টায় দ্বিতীয় দিনের মতো লাগাতার আন্দোলন শুরুর সময় ক্যাম্পাসে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা তাদের ব্যানার টানিয়ে আন্দোলনে বসেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা এসে ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলে। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ডিরেক্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা আবার তাদের ব্যানার টানালে প্রতিপক্ষের লোকেরা এসে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘাতে লিপ্ত হয়, করা হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এতে উভয় পক্ষের অন্তর ৪ জন জখম হয়। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং দুটি গ্রুপকে দুদিকে সরিয়ে দেন। উভয় পক্ষ নিজেদের সঠিক সংগঠন এবং অন্যপক্ষ আগে হামলা করেছে বলে দাবি করেছে। ক্যাম্পাসে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তাদের মতে, প্রতিপক্ষ চলমান আন্দোলনকে বিঘ্ন ঘটাতে এমন হামলা চালিয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, চলমান আন্দোলনকে পেছন থেকে ছুড়িকাঘাত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে ওরা এ কাজ করেছে। ববি ক্যাম্পাসে অবস্থান করার জন্য তাদের কোনো অনুমোদনও নেই।’ এদিকে ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, চলমান কর্মসূচি চলাকালে বিনা উসকানিতে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে অফিসার্স অ্যাসোশিয়েশনের লোকজন। তারা এহামলার নিন্দা জানান এবং বলেন, দাবি আদায়ের সংগ্রাম চলবে। এদিকে বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমআর মুকুল বলেন, নিজস্ব অবস্থান নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গ্রুপের কর্মকর্তারা পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। পরিস্থিতি কিছুটা অশান্ত হয়। পরে পুলিশ ও শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবার জন্য উপাচার্য স্যার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সিসিটিভি ফুটেজএবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে সেগুলো বিশ্লেষণের কাজ শুরু করেছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত