চবিতে কোটা আন্দোলনে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চবি প্রতিনিধি

কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিন শহীদ মিনার থেকে আন্দোলন শুরু করে হাটহাজারী মহাসড়ক অবরোধ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করেছিল। সম্প্রতি উচ্চ আদালত মুক্তিযোদ্ধা কোটাকে আবারো সংযুক্ত করায় সারা দেশব্যাপী আন্দোলন শুরু হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) টানা তিন দিনের আন্দোলনে গতবার বুধবার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে আন্দোলন শুরু করে জিরো পয়েন্ট হয়ে হাটহাজারী মহাসড়ক অবরোধ করেছে। সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’ এর মতো বিভিন্ন আগুনঝরা স্লোগানের মাধ্যমে আন্দোলনকে মুখরিত করে তোলে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চারটি দাবি তুলে ধরে।

প্রস্তাবিত দাবিসমূহ

১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

২. ১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে তারা রাজপথে রক্ত দিতেও প্রস্তুত। নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী খান তালাত মাহমুদ রাফি আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, আগামীকালের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো না মেনে নিলে আন্দোলন আরো কঠিন পর্যায়ে যাবে। আজ আমরা প্রতীকী সড়ক অবরোধ করেছি। প্রয়োজন হলে আমরা রাজপথে রক্ত দিতেও প্রস্তুত। কোটা প্রথার কারণে মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী সালাউদ্দিন সাকিব বলেন, কোটা প্রথার মাধ্যমে আমাদের মেধাকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। দেশের মেধাবীদের কাজে লাগাতে সরকারের উচিত শুধুমাত্র মেধাকে মূল্যায়ন করা।