বোটানিক্যাল গার্ডেনে অযৌক্তিক ফি বাড়ানো, সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন রানিং কমিউনিটি। গতকাল শুক্রবার সকালে তারা এ মানববন্ধন করেন। মিরপুর রানার্স, ইউনাইটেড সোসাইটি ও ফিটনেস ক্যাম্পেইন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। তাদের প্রত্যেকের হাতে প্লাকার্ড ও ব্যানার ছিল। এ সময় তারা বলেন, গার্ডেনে প্রবেশের সময়সীমা বেধে দেওয়া যাবে না। এ সময় তারা বাড়তি ফি প্রত্যাহার দাবি জানান। বক্তারা বলেন, আগে আমরা সকালে ও বিকেলে এসে ব্যায়াম করতাম। ফি ছিল মাত্র ২০ টাকা। ফলে তা সবার সাধ্যের মধ্যে ছিল। কিন্তু এখন যা ধরা হয়েছে তা আগের থেকে পাঁচগুন। এটা দিয়ে প্রতিদিন সবার পক্ষে প্রবেশ সম্ভব নয়। তাই আমরা এ বাড়তি ফি ও গার্ডেনে প্রবেশের বেধে দেওয়া সময়সীমা প্রত্যাহার চাই। তারা আরো বলেন, আগে প্রতি সপ্তাহে গার্ডেনে ঢুকতে খরচ হতো ১৪০ টাকা আর এখন তা ৭০০ টাকা! যা অনেকের জন্যই কষ্টকর। এমন ফি অব্যাহত থাকলে গার্ডেনে প্রবেশের সংখ্যা কমে যাবে বলে মনে করছেন তারা। রাজধানীর মিরপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ওয়ারীর বলধা গার্ডেনের প্রবেশ ফি ৪ জুলাই থেকে ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। এই ফি আগের থেকে পাঁচগুণ বলছেন পরিবেশবাদীরা। গত ২১ এপ্রিল পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এর বন অধিশাখা -১ থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ওয়ারীর বলধা গার্ডেনের প্রবেশ ফি বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয় ১২ বছরের বেশি বয়সিদের বোটানিক্যাল ও বলধা গার্ডেনে প্রবেশ ফি ১০০ টাকা ও ১২ বছরের কম বয়সিদের গুনতে হবে ৫০ টাকা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা সফরে ১০০ শিক্ষার্থীকে ১ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিয়মিত যারা এই দুটি গার্ডেনে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রাতভ্রমণ করেন তাদের জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে বাৎসরিক কার্ড দেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে। কর্তৃপক্ষ প্রাতভ্রমণকারীদর জন্য এক ঘণ্টা সময় নির্দিষ্ট করে দিলেও সেই নির্দিষ্ট সময়ে ঢোকা এবং বের হওয়া তাদের জন্য যথেষ্ট নয় বলে তারা মনে করেন। বাগানের অনেক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণকারীদের তাদের বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে যেতে হয় এবং মহিলাদের সকালে নানা ধরনের কাজ থাকে।